সাভারে বিধবাসহ ৩ তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ০৭:৩৭ পিএম সাভারে বিধবাসহ ৩ তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সাভারে পৃথক ঘটনায় বিধবা (২৩), পোশাক শ্রমিক (১৭) ও এক তরুণী (১৮) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদিকে, বিধবা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় রুহুল আমিন (৪৫) নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী ওই বিধবা নারী ৮ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের  করে এবং ভুক্তভোগী আরো দুই তরুণীর পরিবার মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

বিধবা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত হলেন, ভোলা জেলার সদর থানার ইলিশা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে রুহুল আমিন ও সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের মুশুরীখোলা এলাকার বাসিন্দা মিরাজুলসহ (৩৫) অজ্ঞাত ৫/৬ জন ব্যক্তি।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিধবা ওই নারীর সাথে রুহুল আমিনের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্ক থেকে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল আমিন মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গাবতলীতে আসতে বলে। এরপর প্রেমিক রুহুল আমিন ওই বিধবা নারীকে গাবতলী থেকে সাভারের ভাকুর্তার মুশুরীখোলায় মিরাজুলের বসত বিল্ডিংয়ে নিয়ে আসে। পরে রাত হলে বিয়ে না করে ওই নারীকে রুহুল আমিন ও মিরাজুলসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন ব্যক্তি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে, ঘটনায় ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক তরুণী বলেন, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকার ভাওয়ালিপাড়া মহল্লায় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে ডেকে নেয় আজম (২৫) নামে এক ব্যক্তি। পরে ওই তরুণী চাকরির ব্যাপারে কথা বলতে আজমের রুমে প্রবেশ করে। এর আগে আজম কৌশলে রুমের খাটের নিচে তার তিন সহযোগী সাইফুল, রাসেল ও সবুজকে লুকিয়ে রাখে। এসময় কথা বলার এক পর্যায়ে আজম তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর ওই তরুণীকে চার ব্যক্তি ধর্ষণ করে। এ সময় ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয় ধর্ষকেরা।

অন্যদিকে, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের পশ্চিম কাউন্দিয়া এলাকায় এক তরুণী তার হবু স্বামীর বাড়িতে চাকরির ইন্টারভিউর জন্য থাকতে আসে। এসময় রাত ১২টার দিকে হবু স্বামীর পরিচিত হোসেন (২৬) তাদের রুম থেকে ডেকে তুলে। পরে হোসেন ও তার বন্ধু মুন্না হবু স্বামীর ঘরে প্রবেশ করে তাদের মুখ ও হাত বেঁধে জিম্মি করে। এরপর হোসেন ও মুন্না তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, বিধবা নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) তে পাঠানো হয়েছে।

কেএসটি

আরও সংবাদ