যাত্রীর চাপে ছাড়ল ফেরি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৮, ২০২১, ০১:৩৭ পিএম যাত্রীর চাপে ছাড়ল ফেরি

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রীদের চাপে ফেরি ছেড়ে গেছে। শনিবার (৮ মে) সকালে কুঞ্জলতা নামে ফেরিটি ছেড়ে যায়। এর আগে ফেরিটি সকালেই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসে। এদিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৭ মে) রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শনিবার (৮ মে) থেকে পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজারসহ সব ফেরিঘাটে দিনের বেলায় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে শুধু পচনশীল পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করবে।”

শনিবার সকালে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতা সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের দুটি পিকআপভ্যান ও ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসে। এর আগেই ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কুঞ্জলতা ঘাটে পৌঁছামাত্র ফেরিতে যাত্রীরা ওঠেন। কর্তৃপক্ষের আদেশে ফেরিটি নোঙর করে রাখা হয়। এ পর্যায়ে যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যাত্রীদের রোষানলে কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসারে সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ফেরি কুঞ্জলতায় যাত্রীবোঝাই করে মাদারীপুর ঘাটে পাঠানো হয়।

শিমুলিয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হিলাল উদ্দিন বলেন, যাত্রীদের রোষানলে পড়েই ঘাট কর্তৃপক্ষ ফেরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। শিমুলিয়া ঘাটে এখনো ৪ শতাধিক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান এবং ৭টি অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ব্যক্তিগত গাড়িও আছে। ১০ হাজারের বেশি যাত্রী ঘাটে পার হওয়ার জন্য জড়ো হয়েছেন।

শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য একটি ফেরি সচল আছে। 

এদিকে, গত কয়েক দিন রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হওয়ার কারণে সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়ার দুই পাড়ে কয়েক শ যাত্রী ফেরি পার হতে ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। ফেরি পার হতে না পারায় সকাল থেকে ঘাটগুলোতে যাত্রী ও যানবাহনের অত্যধিক চাপ দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে সকাল ৬টা থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। এতে ঘাট এলাকায় যানবাহনের লাইন তৈরি হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।”

নির্দেশ পেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।