সিলেটে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ৬ দফা ছোট-বড় ভূমিকম্পে দুটি ৬ তলা ভবন হেলে পড়েছে। শনিবার (২৯ মে) নগরের পাঠানটুলা দর্জিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ভবন দু'টি পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় তারা ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “শনিবার ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে পাঠানটুলা দর্জিপাড়া এলাকার ব্লক সি এর ১৬ ও ব্লক ৩ এর ৩ নম্বর বাসা হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়। বাসা দুটি ৬ তলা বিশিষ্ট। খবর পেয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সিসিকের প্রকৌশলী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ভবন দুটির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।”
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এ কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই ১০টা ৫০ মিনিটে ফের কেঁপে ওঠে সিলেট। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় ও ১১টা ৩৪ মিনিটে দুটি ভূ-কম্পন অনুভূত হলে সিলেট নগরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। সেই আতঙ্ক বাড়িয়ে বেলা ২টার আগে ও পরে হয় আরও দুটি ভূমিকম্প।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০টা ৩৬ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩, ১০টা ৫০ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১, ১১টা ৩০ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ২.৮ আর ১১টা ৩৪ মিনিটে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ২ এর নিচে। এছাড়া বেলা ১টা ৫৮ মিনিটে ফের ৪ মাত্রার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এরপর বেলা সোয়া ২টার দিকে আবারও ভূমিকম্প হলেও সেটা রিখটার স্কেলে ২ মাত্রার নিচে হওয়ায় গণনায় নেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট অঞ্চলে এবং এর বিস্তার ছিল ১৩ কিলোমিটার। সিলেট ভারতের সীমান্তবর্তী ডাউকি প্লেটের খুব কাছাকাছি হওয়ায় বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে উত্তরপূর্বের এই জনপদ। এমন বাস্তবতায় তিনি সবাইকে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরির আহ্বান জানান।