বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনন্য এক অংশজুড়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্ভূক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কথা। চলুন, আজ জেনে নেই আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল তথ্য। শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান রূপে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোট আয়তন ১৯২৭.১১ বর্গ কিলোমিটার।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোট জনসংখ্যা ২৮,৪০,৪৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩,৬৬,৭১১ জন এবং মহিলা ১৪,৭৩,৭৮৭ জন। যার মধ্যে মুসলিম ২১,৯৫,৫৮৩ জন, হিন্দু ২,০১,৮৪৩ জন, বৌদ্ধ ১৮৭ জন, খ্রিস্টান ৯০ জন এবং অন্যান্য ৫৫১ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের সর্ব-উত্তরে এ জেলার অবস্থান। এই জেলার পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলা, উত্তরে সিলেটের হবিগঞ্জ জেলা, দক্ষিনে কুমিল্লা জেলা অবস্থিত।
১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরা জেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ এলাকা ময়মনসিংহ জেলার অর্ন্তভূক্ত ছিল। ১৮৩০ সালে সরাইল, দাইদপুর, হরিপুর, বেজুরা ও সতরকন্ডল পরগনা, ময়মনসিংহ হতে ত্রিপুরা জেলার কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৮৬০ সালে নাসিরনগর মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিকাংশ এর অধীনস্থ হয়। ১৮৭৫ সালে নাসিরনগর মহকুমার নাম পরিবর্তন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা করা হয়। তৎপূর্বেই ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর পৌরসভায় উন্নীত হয়।
১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্গত হয়। ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার পূর্ব পাকিস্তান অংশের নামকরণ হয় কুমিল্লা জেলা। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি মহকুমা শহর নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর কুমিল্লা থেকে পৃথক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নতুন জেলা ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা রয়েছে ৯টি, ইউনিয়ন ১০০টি, পৌরসভা ৫টি, থানা ৯টি এবং ৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে। এস এম শাহনূর প্রণীত "নামকরণের ইতিকথা" থেকে জানা যায়, সেন বংশের রাজত্বকালে এই অঞ্চলে অভিজাত ব্রাহ্মণকুলের বড়ই অভাব ছিল। যার ফলে এ অঞ্চলে পূজা অর্চনার জন্য বিঘ্নতার সৃষ্টি হত। এ সমস্যা নিরসনে কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবারকে এ অঞ্চলে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে কিছু ব্রাহ্মণ পরিবার শহরের মৌলভী পাড়ায় বাড়ি তৈরি করে। সেই ব্রাহ্মণদের বাড়ির অবস্থানের কারণে এ জেলার নামকরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।
অন্য একটি মতানুসারে দিল্লী থেকে আগত ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ সুফী হযরত কাজী মাহমুদ শাহ এ শহর থেকে উল্লেখিত ব্রাহ্মণ পরিবার সমূহকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ প্রদান করেন, যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।
আঞ্চলিক ভাষায় এ জেলাকে ‘বাউনবাইরা’ নামে ডাকা হয়। আবার এই জেলাকে সংক্ষেপে অনেকেই ‘বি-বাড়িয়া’ নামে ডেকে থাকে। শিক্ষা-সাহিত্যে দেশের অন্যতম অগ্রণী জনপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। যা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সকল শিক্ষা পরিকল্পনা পরিচালনা করে। এ জেলায় ৪১টি কলেজ, ৩টি কারিগরী, ৮৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি ল'কলেজ, ১টি নার্সিং ইন্সটিটিউট, ১টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল, ১টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও ১টি পিটিআই রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলার মধ্যে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় রাজা রায় বাহাদুর অন্নদা প্রসাদ এর নাম অনুসারে।
এছাড়াও পুরকুইল গাউছিয়া হাবিবিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; জামিয়া শারইয়্যাহ সিরাজুল উলুম, সিরাজবাগ, রহিমপুর; জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলূম ভাদুঘর মাদ্রাসাসহ আরো অনেক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষার গৌরবকে প্রতিনিয়ত সমুন্নত করে চলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে রোডের সাথে যুক্ত, একটি হল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, যেটি এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এর অংশ এবং অপরটি হল কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নদীর উপর রয়েছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু যা আশুগঞ্জ ও ভৈরবের মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটির পূর্ব নাম বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু। এটির পাশেই রয়েছে ১৯৩৭ সালে নির্মিত রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেলসেতু। এর বর্তমান নাম শহীদ হাবিলদার আব্দুল হালিম সেতু।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাথে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের রেল যোগাযোগ রয়েছে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে জংশন। তাছাড়া আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া আশুগঞ্জ-ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতু বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে তিতাস, মেঘনা, আউলিয়াজুরী, কালাছড়ি, খাস্তি, ছিনাইহানি, ডোলভাঙ্গা, পাগলা, পুটিয়া, বলভদ্র, বলাক, বালিয়াজুড়ি, বালুয়া, বিজনা, বুড়ি, বেমালিয়া, মধ্যগঙ্গা, রোপা, লংঘুন, লাহুর, সোনাই, হাওড়া, হুরুল প্রভৃতি ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি প্রাকৃতিক সম্পদ ও শিল্প কারখানা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
১. ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত ও ১৯৬৮ সালে গ্যাস সরবরাহ শুরু করা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে।
২. আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র।
৩. আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প কারখানা। ৪. দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর। এ বন্দরের মাধ্যমে ভারতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় । এটি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়
৫. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে বিসিক শিল্পনগরী, যা স্থাপিত হয়েছে ১৯৮৫ সালে
৬. এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাঁত শিল্প জগত বিখ্যাত
স্বাস্থ্যসেবায় দেশের অন্যতম জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে ১টি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল, ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১টি বক্ষ ব্যাধি হাসপাতাল, ১ টি বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিক, ২৪ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ৬৭ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অতীতের সাক্ষ্য বহন করছে এখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনসমূহ। এ জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বহু মূল্যবান পুরাকীর্তি ও ঐতিহাসিক স্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে উলচাপাড়া মসজিদ অন্যতম। মসজিদটিতে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে অনুমান করা যায় সপ্তাদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ১৭২৭-২৮ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটির প্রতিষ্ঠাতা পশ্চিম দেশীয় বনিক শাহ সৈয়দ মো: মুরাদ, যাকে মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রত্নতত্ত্বের নিদর্শন হিসেবে এই জেলায় আছে আড়িফাইল মসজিদ, আড়িফাইল মাজার (জোড়াকবর), বাড়িউড়া প্রাচীন পুল(হাতির পুল) এবং হরিপুর জমিদারবাড়ি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে রয়েছে লক্ষীপুর শহীদ সমাধিস্থল, কালভৈরব, ফারুকী পার্কের স্মৃতিস্থম্ভ, হাতীর পুল, কেল্লা শহীদ মাজার, গঙ্গাসাগর দিঘী, জয়কুমার জমিদার বাড়ী, আশুগঞ্জ মেঘনা নদীর পার, টিঘর জামাল সাগর দীঘি, নাসিরনগর মেদিনী হাওড় অঞ্চল, কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর, ধরন্তি হাওর ও ভৈরব রেলওয়ে সেতু বেশ জনপ্রিয়।
যার প্রত্যেকটি স্থানই দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষনীয়। সময় করে ঘুরে আসুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৃষ্টিনন্দন স্থান সমূহতে।
এছাড়া দৃষ্টিকাড়া নান্দনিক সৌন্দর্য এবং আধুনিক স্থাপত্যকলার কারণে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি উল্লেখ্য যোগ্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম পুতুল নাচের প্রচলন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বিপিন পাল। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রয়েছে বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব যার মধ্যেঃ
১. নৌকা বাইচঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে শত বছর যাবত ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । প্রতিবছর মনসা পূজা উপলক্ষে ভাদ্র মাসের প্রথম তারিখে তিতাস নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয় ।
২. আসিল মোরগ লড়াইঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে এই ঐতিহ্যবাহী মোরগ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়
৩. গরুর দৌড়ঃ বাঞ্ছারামপুর থানার রূপসদী গ্রামে এই ঐতিহ্যবাহী গরুর দৌড় অনুষ্ঠিত হয়
৪. ভাদুঘরের বান্নী (মেলা)
৫. খড়মপুর কেল্লাশাহ (র) মাজার শরীফ এর বার্ষিক ওরশ
৬. চিলোকুট গ্রামে সৈয়দ আঃ রউফ এর ওরশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপ্রিয় খেলা হল - ক্রিকেট,ফুটবল,ব্যাডমিন্টন । ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে রয়েছে - নৌকা বাইচ,লাঠিখেলা,গরু দৌড়,আসিল মোরগ লড়াই । ২০১৪-১৫ মৌসুমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনূর্ধ্ব-১৬ ও ১৮ দল । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গনের মূলকেন্দ্র নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়াম । তৎকালীন এসডিও নিয়াজ মোহাম্মদ খান ১৯৩৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন , যা দেশের প্রাচীনতম স্টেডিয়াম
এই জেলায় জন্ম ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী উল্লাস কর দত্ত, অখিলচন্দ্র নন্দী, অতীন্দ্রমোহন রায়, নৃপেন্দ্র দত্ত রায়সহ আরো অনেক বিপ্লবীর।
পাকিস্তানের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের একমাত্র উপ-রাষ্ট্রপতি নুরুল আমিন ১৮৯৩ সালে অবিভক্ত বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত ব্রিটিশ ভারতীয় মুসলিম রাজনৈতিক নেতা নবাব সৈয়দ শামসুল হুদা এই জেলার নাসিরনগরে জন্মগ্রহন করেন।
ব্রিটিশ ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবি আবদুর রসুল, পাকিস্তান শাসনামলের সমবায় ও পাট মন্ত্রী আবদুর রহমান খান, ঔপন্যাসিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ, সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁ, আলী আকবর খান, একুশে পদক এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আবদুল কাদির ও আল মাহমুদ, বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্রিকেটার প্রবীর সেন ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল সহ অসংখ্য গুণী মানুষের জন্মস্থান আমাদের এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
জাগরণ/এসকে