ভান্ডারিয়ায় গ্রামে গ্রামে ফ্রি টিকা রেজিট্রেশন ক্যাম্প

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৪:৫৪ পিএম ভান্ডারিয়ায় গ্রামে গ্রামে ফ্রি টিকা রেজিট্রেশন ক্যাম্প

একরামুল কবির ঝন্টু, পিরোজপুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বিনামুল্যে কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসুচি সফল করার লক্ষ্যে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মিরাজুল ইসলাম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে টিকা রেজিট্রেশনের ফ্রি ক্যাম্প চালু করা হয়েছে।

উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে মিরাজুল ইসলাম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা এ ফ্রি টিকা রেজিট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এ ফ্রি রেজিট্রেশন কার্যক্রম চালু থাকবে।

এতে করে উপজেলার সকল নাগরিকের টিকা নিশ্চিত হবে বলে ধারনা করছেন সংশ্লষ্টরা। এ কার্যক্রম চালু করার ফলে গ্রামের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ব্যাপক সারা পরেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, করোনা টিকা রেজিট্রেশন করতে আমাদের উপজেলা সদরে যেতে হত।মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ওয়ার্ডে ফ্রি রেজিট্রেশনের ব্যাবস্থা করায় এখন আমাদের কোন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছেনা। বিশেষ করে গ্রামের মহিলা এবং বৃদ্ধদের জন্য অনেক বেশী সুবিধা হয়েছে এই উদ্যোগের কারনে।

করোনার শুরু থেকেই এ উপজেলায় মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নিজস্ব অর্থায়নে গরিব আসহায়দের খাদ্য ঔষধ সহ চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আসছে।বর্তমানে এলাকার সামর্থহীনদের চিকিৎসা সহয়তার পাশাপাশি ফ্রি এম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সেবা চালু রেখেছে মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।

উপজেলার যেকোন স্থান থেকে কেউ ফোন করলেই বিনামুল্যে তার বাড়িতে অক্সিজেন পৌছে দিচ্ছে সংগঠনটির সেচ্ছাসেবীরা।সংকটময় পরিস্থিতিতে মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের এই মানবিক সহয়তা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।

মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসাম হাওলাদার বলেন, গ্রামের সাধারন মানুষ টিকা রেজিট্রেশন সম্পর্কে কোন কিছুই জানে না। তারা কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবে কোথায় গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে তাও তাদের ধারনা নাই। এসকল কিছু বিবেচনা করে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম তার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিটা গ্রামের পাড়া মহল্লায় গিয়ে জনগনকে ফ্রি টিকা রেজিট্রেশন করার নির্দেশনা দেন। যাতে এই উপজেলার সকল জনগন রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা গ্রহন করতে পারে সেই লক্ষ্যে মিরাজুল ইসলাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে।