নিত্যপণ্যের বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধিতে অনীহা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২১, ১১:২৯ এএম নিত্যপণ্যের বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধিতে অনীহা

মৌলভীবাজারের অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে রয়েছে অনীহা। তারা ব্যবহার করেন না মাস্ক। এই অবস্থায় জনসাধারণের নিকট বিক্রি করছেন নিত্যপণ্য।

জেলা শহরের পশ্চিমবাজার, টিসিমার্কেট, চাঁদনীঘাট, শমশেরনগর রোডসহ সর্বত্র সরেজমিন এ চিত্র দেখা যায়।

চিকিৎসকসহ সচেতন মহল মনে করেন, এই স্থানগুলো থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। কারণ সকল মানুষ এই দোকানগুলোতে ভিড় করেন বেশি।

দৈনন্দিন প্রয়োজনে মাছ, মাংস, সবজি, মসলা এগুলো মানুষকে কিনতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যায় সর্বত্র মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধির বাইরে এই বিক্রেতারা। কিন্তু যাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা তারাই মানছেন না। ফলে নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে বিক্রেতাদের কাছ থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি  রয়েছে সকল শ্রেণি পেশার ক্রেতা সাধারণের।

সবজি বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, মাস্ক সবসময় লাগিয়ে রাখলে শ্বাস বন্ধ লাগে, তাই মাঝে মাঝে খুলে রাখি বা মাথায় তুলে রাখি।

কোর্টরোডের তেল মসলা দোকানের কর্মচারী তফিল মিয়া বলেন, মাস্ক ধুয়ে দিয়েছি, আনতে মনে নাই। অন্যদিন পরি, কাল থেকে পড়বো।

শহরের টিসিমার্কেটের মোরগ ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম বলেন, মাস্ক আমাদের পড়া লাগে না, অভ্যাস হয়ে গেছে এরকম থেকে। মাস্ক ছাড়া এতোদিন ধরেই তো মোরগ বিক্রি করছি।

কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন। তিনি জানান,  অধিকাংশ মানুষ অসচেতন। যার ফলে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধির আওতায় নিয়ে আসা যাচ্ছে না। আমরা প্রতিনিয়ত পণ্যের দাম তদারকির পাশাপাশি কাঁচাবাজারে মাস্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার অভিযান পরিচালনা করছি।

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বিনেন্দু ভৌমিক জানান,  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে মানুষ সবসময় যায়। এই দোকানগুলোয় অন্য দোকানের তুলনায় বেশি মানুষ যাওয়ায়, বেশি সংক্রমণের ঝুকি রয়েছে। ফলে ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তার স্বার্থে এদেরকে স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনা জরুরি।

জাগরণ/এমআর