চলাচলের নিত্যসঙ্গী ঝুঁকি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম চলাচলের নিত্যসঙ্গী ঝুঁকি

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের টুকা মিয়া চাপরাশি ঈদগাহ জামে মসজিদের উত্তর পাশের এ কাঠের ব্রিজ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোড়াতে হচ্ছে হাজারো স্থানীয় এলাকাবাসীর। প্রতিদিন এ কাঠের ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে কোমলতমি শিশু শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের কাঠের পেরাগ উঠে গিয়ে পাখায় পড়ে আছে। অন্ধকার রাতে এই ব্রিজ দিয়ে  হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বয়স্ক লোকদের জন্য এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে হাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হামছাদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই ব্রিজ। প্রতিনিয়ত প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ ঝুঁকি যাতায়াত করেন। দালাল বাজার এন কে উচ্চ বিদ্যালয়, দালাল বাজার ফাতেমা বালিকা, গাউসুল আজম ইসলামিয়া তাহেরিয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা ও দালাল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। 

পৌরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর রাহিমা বেগম জানান, এই ব্রিজ দিয়ে আমার বাবার বাড়ি যেতে হয়। ব্রিজটি যদি আমার নির্বাচনী এলাকা পড়তো, তাহলে আমি চেষ্টা করতাম। এ ব্রিজ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। যত ভোগান্তি সব চলাচলকারীদের। অথচ এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে চারটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার লোকজন আসা-যাওয়া করেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে একাধিকবার অবগত করলেও কোন সাড়া মেলেনি। 

টুকামিয়া চাপরাশি ঈদগাহ জামে মসজিদের ইমাম বলেন, ব্রিজটির দুর্দশা ও বেহাল অবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় নামায পড়তে আসা মুসল্লিদের। একটু বৃষ্টি হলেই ব্রিজ দিয়ে হাঁটা কষ্টকর হয়ে পড়ে। 

এ বিষয়ে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম জানান, ভাঙা কাঠের ব্রিজ এর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে বিভিন্ন অফিসগামী ব্যক্তি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ব্রিজটির মেরামতের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে আবেদন করা হয়েছে। 

জাগরণ/এমআর