প্রেমিকের লালসা থেকে বাঁচাতে পদ্মায় ঝাঁপ স্কুলছাত্রীর 

রাজবাড়ী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০৯:৫৯ এএম প্রেমিকের লালসা থেকে বাঁচাতে পদ্মায় ঝাঁপ স্কুলছাত্রীর 

ফেসবুকে পরিচয় তার পর মুঠোফোনে প্রেম। তবে ছয় মাস ধরে কথা বললেও সুযোগ মেলেনি দেখা করার। অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর স্কুল খুলতেই প্রেমিকার টানে চলে আসেন প্রেমিক। এরপর একসঙ্গে পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যান। পদ্মার তীরে যেতেই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন প্রেমিক।

ঘুরতে নিয়ে আসা প্রেমিকাকে নির্জনে কুপ্রস্তাব দেয়ার পাশাপাশি শরীরে দেন হাত। বাধা দিলেও হয়ে ওঠেন মরিয়া। তাই নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন প্রেমিকা। তবে স্থানীয়দের উদ্ধার তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত রোববার রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিলের (১৭) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। অভিযুক্ত প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিলকে (১৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইব্রাহিম খলিল রাজবাড়ী জেলা শহরের শ্রীপুর নোয়াখালী পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানায়, সে রাজবাড়ী জেলা শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফেসবুকে তার সঙ্গে ইব্রাহিম খলিলের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে তার বিদ্যালয়ের সামনে আসে ইব্রাহিম। এরপর তারা জেলা শহরের মিজানপুর ইউনিয়নের গোদার বাজার-সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যায়। এ সময় পদ্মা নদীর তীরে থাকা ইটভাটার পাশে নির্জন স্থানে তাকে নিয়ে যান ইব্রাহিম। সেখানে নিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দেন এবং তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নিষেধ করার পরও ইব্রাহিম শোনেনি। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন জানান, অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জাগরণ/এমআর