কিশোরীর ইচ্ছে গার্মেন্টসে চাকরি করবেন। কিন্তু বাবা-মা করাতে চান পড়াশোনা। তাই অভিমানে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। গিয়েছিলেন নদীতে ঝাঁপ দিতে। তবে শেষমেশ তা আর হয়ে ওঠেনি। এর আগেই তাকে আটকে দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে খবর পেয়ে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি চট্টগ্রামের। সোমবার বিকেলে নগরীর কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরী হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা এলাকার বাসিন্দা হলেও পরিবারের সঙ্গে থাকেন নগরীর পাঁচলাইশের উর্দু কলোনিতে। পড়েন কাপাসগোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে।
জানা গেছে, পড়াশোনা বাদ দিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করতে চেয়েছিলেন ওই কিশোরী। এতে রাজি হননি বাবা-মা। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ফলে অভিমানে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, বন্ধুরা বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি মেয়ে শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীতে লাফ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দেরি না করে দ্রুত তাকে আটকে ফেলি। এরপর ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশকে জানালে তারা এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, পড়াশোনা করতে বলায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ওই কিশোরী। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমরা তাকে উদ্ধার করি। পরে বুঝিয়ে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেই।
জাগরণ/এমইউ