লাশবাহী গাড়ি না থাকায় পৌরসভার গাড়িটি দেয়া হয়েছিল 

শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৩:৫৭ পিএম লাশবাহী গাড়ি না থাকায় পৌরসভার গাড়িটি দেয়া হয়েছিল 

শেরপুর পৌরসভায় কোনও লাশবাহী গাড়ি নেই। শুধু পৌরসভায় নয় গোটা জেলাতেই নেই কোনও লাশবাহী গাড়ি। এ জন্য এ্যাম্বুলেন্সেই বেশী ভাড়ায় লাশ পরিবহন করা হয়। আর শুধু তেল খরচেই শেরপুর পৌরসভার বর্জপরিবহন গাড়িটি দিয়ে পৌরবাসীর লাশ পরিবহন করা হয়। লাশ পরিবহন করার আগে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয় গাড়িটি। এ ধারা চলে আসছে যুগযুগ ধরে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মন্জু’র মরদেহ পরিবহন করে নিয়ে যা্ওয়া হয়। এ নিয়ে দুটি মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। এ বিতর্কের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগতি করার জন্য ২৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে মাধবপুরস্থ শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গেলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।

এসময় তিনি জানান, আমাদের পৌরসভায় কোনও লাশবাহী গাড়ি নেই। আমরা লাশবাহী গাড়ি ক্রয় করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে লাশবাহী গাড়ি ক্রয়ের অনুমতি চেয়ে দু’দফায় পত্র দিয়েছি। কিন্তু মন্ত্রনালয়ের অনুমতি মেলেনি। ফলে আমরা গাড়ি ক্রয় করতে পারছি না। তাই আমাদের একমাত্র গাড়িটি দিয়ে আবর্জনা পরিবহন করি। আবার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে লাশও পরিবহন করা হয়। একই উপায়ে আমাকে জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধে আমি ওই গাড়িটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মন্জু’র মরদেহ পরিবহনের জন্য প্রদান করি। এতে আমাদের পৌরসভার তো কোনও ত্রুটি নেই। আর এ ঘটনায় খবর প্রকাশিত হওয়ায় আমরা বিব্রত হয়েছি। তাই আমরা এখন থেকে আর এ গাড়ি দিয়ে লাশ পরিবহনের সুযোগ দিবো না। আমরা লাশ পরিবহনের জন্য গাড়ি ক্রয় করার চেষ্টা করছি।

অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, আমরাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তালাপতুফ হোসেন মন্জুর লাশ পরিবহনের জন্য গাড়িটি পৌরসভার কাছে চেয়েছিলাম এতে পৌরসভার কোনও দোষ নেই। এখানে পৌরকর্তৃপক্ষকে বিব্রত করার কোনও সুযোগ নেই।

এসময় প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন সহ জেলার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ২৮ জানুয়ারি শেরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মন্জু’র মৃত্যুর পর তার মরদেহ পৌরসভার গাড়ি দিয়ে শেরপুর শহীদ মিনার, পৌর ঈদগাহ মাঠ ও পৌর গোরস্থানে নিয়ে যায়। এ নিয়ে দুটি মিডিয়ায় খবর প্রকশিত হয়। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়।

পরিবহন করা নিয়ে প্রকাশিত একটি খবর চলছে নানা করলে দু একটি মিডিয়ায় বিক্রিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে কর্মরত জেলার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে পৌর মেয়র আলহাজ্ব গেলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।

ইউএম