গাংনী মডেল মাদ্রসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া খাতুনের বাবা মায়ের শখ ছিলো মেয়ে আল কুরআনের হাফেজ হবে। পড়াশুনা করে মানুষের মত মানুষ হবে। ছোট শিশু জিনিয়া খাতুন প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পার হওয়ার সময় অবৈধ আটোবাইকের ধাক্কায় বাবা মায়ের এ সপ্ন শেষ করে দিলো ঘাতক চালক।
গত সোমবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিনিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়। জিনিয়া খাতুন মেহেরপুরের গাংনীর বাঁশাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার ফল ব্যবসায়ী জিনারুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩ টায় ছোট শিশু জিনিয়া খাতুন প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তার পার হওয়ার সময় অবৈধ অটোবাইকের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়। আহতবস্থায় তাকে প্রথমে গাংনী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোফর্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গাংনী মডেল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জামিল হোসেন বলেন, জিনিয়া খাতুন অত্যন্ত মেধাবী ছিলো। তার বাবা মায়ের শক ছিলো সে আল কুরআনের হাফেজ হবে। হাফেজ হওয়ার সপ্ন নিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করে তাকে। কিন্তু অবৈধ অটোবাইকের ধাক্কায় সপ্ন শেষ হয়ে গেছে। ঝরে পড়লো একটি নিস্পাপ শিশুর প্রাণ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বাঁশবাড়িয়া ফুটবল মাঠে জিনিয়া খাতুনের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ফেরদৌস জানান, জনবল সংকটের কারণে শুধু মাত্র শহর কেন্দ্রীয় অবৈধ যানগুলো আটক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে দ্রত সময়ের মধ্যে চেকপোষ্ট গুলো বাড়ানো হবে।
