শেরপুরে ফসল রক্ষায় ঘুমহীন কৃষক 

শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২২, ০২:৫৬ পিএম শেরপুরে ফসল রক্ষায় ঘুমহীন কৃষক 

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের সীমান্তর্তী নাকুগাঁও গ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে গত কয়েক দিনে ওই এলাকার ৮ জন প্রান্তিক কৃষকের সাড়ে তিন একর বোরো ফসল হাতির পাল আংশিক খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। 

বাকি ফসল রক্ষায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। বর্তমানে ৪০-৪৫টি ছোট-বড় হাতির দল নাকুগাঁও ও ভারত সীমান্তের বানেরটিলায় অবস্থান করছে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও গ্রামে পাহাড়ী ঢালুতে প্রায় শতাধিক কৃষক ১৫০ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। 

গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ ৪০-৪৫টি বন্যহাতির পাল নাকুগাঁও বানেরটিলা চলে আসে। পরে ২০-২৫টি হাতি নাকুগাঁও গ্রামের ফসলি জমিতে নেমে পড়ে। এ সময় নাকুগাঁও গ্রাামের ইদ্রিস আলীর ৪০, আব্দুল খালেকের ৩০, ফুলেমা চিসিমের ৫০, সাগর মারাকের ৪০, আলিম উদ্দিনের ৩০, প্রণব চিসিমের ৫০, দুলু মিয়ার ৩০ ও তোতা মিয়ার ৪০ শতক আবাদি জমির বোর ফসল খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলেছে।

হাতির পালটি নাকুগাঁওয়ের বানেরটিলায় সীমান্তবর্তীতে অবস্থান করায় স্থানীয় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় সময় পাড় করছেন। গ্রামবাসী হাতি তাড়াতে বন বিভাগ ও সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, আমি নাকুগাঁও স্থলবন্দরে শ্রমিকের কাজ করি। বাবা-মাসহ পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে হয়। ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ১ একর জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। কদিন আগে সন্ধ্যায় বন্যহাতির দলটি ক্ষেতে নেমে আমার ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। বাকি ফসল রক্ষা না করতে পারলে আমাদের বিরাট ক্ষতি হবে।

জাগরণ/আরকে