যে কারণে আত্মহত্যা করলো সবুজ ও জান্নাত

বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২২, ০৭:১৯ পিএম যে কারণে আত্মহত্যা করলো সবুজ ও জান্নাত

দিনমজুর ছেলের সঙ্গে কলেজ পড়ুয়া মেয়ের প্রেম মেনে নেয়নি পরিবার। অন্যত্র দেয় বিয়ে। অভিমানে রাতে মুঠোফোনে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলছিল মেয়েটি। কথার এক পর্যায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে ছেলেটিও একইভাবে  আত্মহত্যা করে। নিজ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ঝুলন্ত লাশ।

ঘটনাটি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার। দিন বিশেক আগে এক প্রবাসী যুবকের সঙ্গে মুঠোফোনে মেয়েটির বিয়ে দেয় তার পরিবার। ঐ বিয়েতে তার সম্মতি ছিল না। তার মন পড়ে ছিল দিনমজুর ছেলেটির কাছেই। কিন্তু ছেলেটি গরিব হওয়ায় মেয়ের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ফলে দুজনই করে আত্মহত্যা।

মঙ্গলবার সকালে লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এর আগে, সোমবার রাত ৯টা ও ১০টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে দুজন।

নিহতরা হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের দামগারা কারিগরপাড়া গ্রামের ২১ বছর বয়সী সবুজ ও একই ইউনিয়নের মাসিমপুর চালুঞ্জা তালুকদারপাড়া গ্রামের ১৯ বছর বয়সী মার্জিয়া জান্নাত। জান্নাত একই উপজেলার নামুজা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

শিবগঞ্জ থানার এসআই নাসির উদ্দিন জানান, সবুজ ও জান্নাতের প্রায় দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সবুজ পেশায় দিনমজুর ও তার পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় জান্নাতের স্বজনরা তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। জান্নাতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক মালয়েশিয়া প্রবাসী। এ কারণে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন তিনি। ২০ দিন আগে ঐ যুবকের সঙ্গে মুঠোফোনে জান্নাতের বিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, বছরখানেক আগে প্রেমিক সবুজের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল জান্নাত। তখন তাকে সবুজের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে যান জান্নাতের পরিবারের লোকজন।

এসআই নাসির জানান, জান্নাতি সোমবার সবুজের বাড়িতে আসেনি বা তাদের বিয়েও হয়নি। কিন্তু স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে জান্নাতি বাড়ি থেকে পালিয়ে সবুজকে বিয়ে করে, যা ভুল। তারা অভিমানে নিজ নিজ বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত উল্লাহ জানান, সবুজ ও জান্নাতির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউএম