বরিশালে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে

বরিশাল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২২, ০৯:২৯ এএম বরিশালে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের জাল সিল ও বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে রিকল সরবরাহ করায় আইনজীবীর সহকারী বিরুদ্ধে বিচারক আবু শামীম আজাদ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে আদালতের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। 

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নি‌শ্চিত করেছেন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপ‌লিটন ম‌্যা‌জিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকা‌রি চা‌র্চিল।

অভিযুক্তরা হলো- পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের ফারুক খানের ছেলে খোকন খান এবং আইনজীবী আহাদ আলী খানের সহকারী বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদ মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা শুক্কুর আলী মোল্লার ছেলে তরিকুল ইসলাম তপন।

অভিযোগে বিচারক উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের মামলায় প্রধান আসামি খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই সময় থেকে খোকন পলাতক ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আসামিকে গ্রেফতার করতে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তাগিদ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে অবহিত করা হয় একই বছরের ২৫ আগস্ট আসামি খোকন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। ওই পত্রের সঙ্গে জামিনের কাগজ রিকলের কপি প্রেরণ করা হয়। তাতে দেখা যায় রিকলে ট্রাইবুনালের গোল সিল জাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালেরস্থলে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল লেখা রয়েছে। বিচারকের স্বাক্ষরও জাল করা হয়। যার সঙ্গে অভিযোগকারী বিচারকের স্বাক্ষরের কোনো মিল নেই। এমনকি রিকলের হাতের লেখা তৎকালীন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুলের নয়।

উক্ত জামিননামা পর্যালোচনায় অভিযোগকারী দেখতে পান আইনজীবীর সহকারী তপন ও আসামি খোকন যোগসাজসে জাল রিকল তৈরি করেছে। এরপর পুনরায় আসামি খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি খোকনকে গ্রেফতার করে তার নিকট থেকে জাল রিকলের মূলকপি জব্দ করা হয়। 

এ সময় আসামি খোকন জানায়, ওই রিকল আইনজীবী আহাদ আলী খানের সহকারী তপন দিয়েছে। 

জাগরণ/আরকে