উর্ধ্বগতি নিত্যপণ্যে

সয়াবিন সংকটে রাজশাহী

রাজশাহী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২২, ০৩:১৬ পিএম সয়াবিন সংকটে রাজশাহী

এম. আব্দুল বাতেন
রমজান মাসকে সামনে রেখে রাজশাহীর বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। মাংস, শসা ও লেবুর দাম উর্ধ্বগতিতে রয়েছে। মাছের দাম সামান্য কিছু বৃদ্ধি পেলেও অন্যান্য সবজি রয়েছে প্রায় আগের মতই। তবে ক্রেতারা বলছেন বাজারে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকছে না। সামনে রমজান মাস উপলক্ষে দাম বাড়ার সম্ভবনা থাকে তাই বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ। 

শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী নগরীর কাঁচা বাজার ঘুরে এমনি চিত্র দেখা মিলেছে। 

নগরীর সাহেব বাজারের মুদী ব্যবসায়ী শরিফ উদ্দিন জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ না থাকায় বাজারে তেল সংকট রয়েছে। তারা অনলাইন ভিত্তিক বাজার হতে কিছু তেল ক্রয় করে বাজারে বিক্রয় করছেন।  

অপর ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, আগের দামে তেল ক্রয় করে থাকায় সেই দামেই বিক্রি করছেন। সরকার নতুন দাম নির্ধারণ করে দেবার পর হতে তীর, বসুন্ধরা, রুপচাঁদা,পুষ্টিসহ বিভিন্ন কোম্পানী তেল না থাকায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে তেল সরবরাহ পেলে সরকার নির্ধারিত দামেই তেল বিক্রয় করতে পারবো। তবে খোলা সয়াবিন তেল পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে সেই তেল ১৫০-১৫৫ টাকা লিটার বিক্রয় করছেন। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুদী ব্যবসায়ী জানান, আমরা চাহিদা মতো তেল কোম্পানীর ডিলারদের নিকট হতে পাচ্ছি না। তারা আমাদের অর্ডার মোতাবেক দেয় না তাই বিক্রিও করতে পারছি না। তবে উচিত হবে এসব তেলের ডিলারদের গোডাউনগুলোতে তল্লাসী চালানো তাহলে আসল চিত্র বেরিয়ে আসবে। 

অপর দিকে রমজানে শসা, লেবুর চাহিদা থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে শসা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, লেবু ১৮-২০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩৬-৪০ টাকা হালি বিক্রি করা হচ্ছে। 

খাসি ও গরুর সরবরাহ কম থাকায় খাসির দাম ৮৫০ টাকা হতে একলাফে ৯০০ টাকা কেজি আর গরুর মাংস ৬০০ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার (২৫ মার্চ) ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সোনালী মুরগি ২৬০ টাকা বিক্রি করলেও তা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকা, বয়লাম ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ছোলা (বুট) ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৪০ টাকা, আলু ২০, করলা ৬০, কাঁচা মরিচ ১০০, পটল ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০, পাতা কপি রকম ভেদে ২০-২৫ টাকা , ফুঁলকপি ৩৫-৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

অপর দিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় কেজির ইলিশ ১৬০০ টাকা, ১ কেজির উপর ১২০০ টাকা কেজি বিক্র হচ্ছে। বোয়াল মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা এছাড়া অন্যান মাছ প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। 

বাজার করতে আসা আইনজীবি সাইদুর রহমান জানান, সবকিছুর দাম উর্ধ্বগতির দিকে আছে। সবকিছু আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় কম ব্যয় করতে হবে। তবে এসবের জন্য সরকারের সঠিক নিয়ন্ত্রণ চান এই আইনজীবি। 

দোকান কর্মচারী কার্তিক সরকার জানান, একহালি লেবু ৪০ টাকায় কিনতে হলো । অন্যের দোকানে কাজ করে বেশী দামে কিনে দিন চালনায় মুশকিল হয়ে যাবে। 

আর কিছুদিন পর হতেই পবিত্র রজমান মাস শুরু হবে। এই সময় সবকিছুরই দাম বেশী হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে সাধারণ ক্রেতারা সরকারের পক্ষ হতে সঠিক ভাবে বাজার তদারকি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি গ্রহণের দাবি জানান। 

জাগরণ/আরকে