স্বজনদের কান্নায় ভারি হাসপাতালের পরিবেশ

বরিশাল প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম স্বজনদের কান্নায় ভারি হাসপাতালের পরিবেশ

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহতের মরদেহ নিতে স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় করেছেন। আজ রবিবার দুপুর থেকে তারা উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছেন। নিহতরা বরিশালের পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গণমাধ্যমে বাস দুর্ঘটনার খবর দেখে হাসপাতালে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজছেন অনেকে। ঘটনাস্থলের আশপাশে বিলাপ করছে বহু মানুষ। ফায়ার সার্ভিস যখন একটার পর একটা মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনছিল তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সেই দৃশ্য দেখে উপস্থিত কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। মর্মান্তিক এ ঘটনায় পুরো উজিরপুর হাসপাতালই যেন কাঁদছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন যাত্রীরা জানায়, বাসটির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সময় গাড়ির গতিও ছিল বেপরোয়া। বামরাইল এলাকায় আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসের বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। একটু পর দেখি ভাঙা গ্লাসের বিভিন্ন অংশ লেগে শরীর কেটে-ছিঁড়ে গেছে। আশপাশের অনেকেই রক্তাক্ত। মনে হলো মুহূর্তের মধ্যে কোনও ধ্বংসযজ্ঞ নেমে এসেছে। উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ জানান, ইতিমধ্যে কয়েকজনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াগামী যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বামরাইল ও সানুহারের মাঝামাঝি নামক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটি কেটে বাসের মধ্যে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করেন। এ সময় বাস থেকে ৮ জন, পাশের ডোবা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।