শীর্ষ ১০ খেলাপির ৭ ব্যাংকই বেসরকারি খাতের

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০১৯, ০৮:৪২ এএম শীর্ষ ১০ খেলাপির ৭ ব্যাংকই বেসরকারি খাতের

ব্যাংক খাত জুড়ে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরই ঋণ রি-সিডিউল স্থগিত করা হয়েছে। যার কারণে খেলাপি ঋণের আকার আরো বেশি বেড়ে গেছে। তবে শীর্ষ দশ খেলাপির সাত ব্যাংকই বেসরকারি খাতের। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

সূত্র জানায়, শীর্ষ দশ খেলাপিযুক্ত ব্যাংকের মধ্যে তিনটি সরকারি ও সাতটি বেসরকারি ব্যাংক। মার্চ মাস শেষে পুরো ব্যাংক খাতের ঋণ খেলাপি ১৬ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা বাড়লেও এর মধ্যে শীর্ষ দশ ব্যাংকের অবদান ১১ হাজার ৮৮১ কোটে টাকা। যা মোট বৃদ্ধির প্রায় ৭০ দশমিক ০৪ শতাংশ। 

ব্যাংকগুলো হলো-  জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে – ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

সূত্র আরো জানায়, আর শীর্ষ খেলাপির তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ হলো- জনতা ব্যাংকের খেলাপি বেড়েছে ৪ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংক- ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক- ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক- ৭৩০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক- ৩৯৭ কোটি টাকা, সাউথ-ইস্ট ব্যাংক- ৩৩৪ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংক- ৩২০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক- ৩১৪ কোটি টাকা,রূপালী ব্যাংক- ২৪০ কোটি টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক- ২২৩ কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যে হারে খেলাপি ঋণ বেড়েছে তার বিরুদ্ধে কোনো রকম দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতের অবস্থা আরও খারাপ হবে। দুর্দশাগ্রস্ত এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে একাধিক ব্যাংককে একটি ব্যাংকে রূপান্তর বা মার্জারের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণ জানতে শীর্ষ খেলাপিযুক্ত ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের তলব করা হয়েছে। আর খেলাপির কারণ খুঁজে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণ খেলাপি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এই দশ ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ ৬১ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। যা মোট খেলাপির ৫৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

এআই/বিএস