কোরবানি ঈদের পর সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও শিল্প কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, দেশের বৃহত্তর রফতানি আয়ের এই খাতটি যেন উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে—সেই উদ্দেশে এমন দাবি তাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানায় পোশাক শিল্প মালিকরা।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বিকেএমইএ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যান্যুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ টেরিটাওলে অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শিল্প কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছি।কারণ শিল্প কারখানা যদি খোলা রাখা না যায়, তাহলে অর্থনীতিতে এটার একটা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।মন্ত্রী পরিষদ সচিব আমাদের জানিয়েছেন শনিবার (১৭ জুলাই) তারা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবেন। বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ফারুক হাসান বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কাতে অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছিল। প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছিল গত বছর। কিন্তু অর্ডারগুলো আস্তে আস্তে আমরা ফিরে পেয়েছি। এখন ওখানে মার্কেট ওপেন হয়ে গেছে। সে কারণে ক্রেতারা কিন্তু আমাদের জন্য বসে থাকবে না। তারা অন্য দেশে অর্ডার দেবে। এরই মধ্যে সেই অর্ডারগুলো তারা দেয়া শুরু করেছে।
তিন বলেন, শীতের অর্ডারগুলো জুলাইয়ের শেষ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে শিপমেন্ট করতে হয়। শীতের আইটেম সোয়েটার, জ্যাকেট এবং নিটের মধ্যে হুডি খুব অল্প সময়ের জন্য সিজন থাকে। সে কারণে এই শিপমেন্টগুলো দিতে না পারলে ক্রেতাদের কাছ থেকে যে অর্ডারগুলো নিয়ে এসেছি তাতে কারখানাগুলো সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়ার অবস্থায় চলে যাবে। পুরো কাপড়খাত সম্পূর্ণ সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে। এ কারণে জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
জাগরণ/এমএ