শাবির ভিসি পদত্যাগের দাবি:

এবার রাবি‍‍`র বুদ্ধিজীবী চত্বরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০২:৩৫ পিএম এবার রাবি‍‍`র বুদ্ধিজীবী চত্বরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সময়। ছবি- জাগরণ।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ড. ফরিদ উদ্দীনের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় তারা, শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরে, প্রশাসন চুপ কেনো, শাবিপ্রবি নির্লজ্জ ভিসির অপসারণ চাই, শিক্ষার্থীরা এক হও, অধিকার আদায় করো সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছে। ক্যম্পাসের স্বৈরাচারী কাঠামো ভাঙতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও নারী বিদ্বেষী, দালাল, স্বজনপ্রীতি, রক্ত পিপাসু হামলাকারী ভিসিকে শিক্ষার্থীরা আর চায় না। এমন ভিসির ক্যাম্পাসে যায়গা হবে না। শুধু পদত্যাগ নয়, এমন নজির রাখতে হবে যেনো সারাজীবন এটি শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। 

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুর মজিদ অন্তর বলেন, আজ প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অবহেলার শিকার হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে, শিক্ষকদের দ্বারা লাঞ্চিত হচ্ছে, প্রশাসন কর্তৃক মারধরের শিকার হচ্ছে, মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। যে শিক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্র করে জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখা হয়, আজকে সেই শিক্ষার্থীদেরকে মেরুদণ্ডহীন করার জন্য একের পর নির্যাতন চালানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। শিক্ষার্থী সমাজের বিরুদ্ধে লেগে জাতি কখনোই ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারেনি। শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করুন। নির্লজ্জ বেহায়া ভিসিকে অপসারণ করুন। 

এসময় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে শাবিপ্রবির স্বৈরাচার ভিসিকে অপসারণ করতে হবে, তিনি যেভাবে নির্লজ্জভাবে হামলা চালিয়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর এর সাথে জড়িত সবাইকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দেয়া হয়েছে সে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, একই সাথে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করার জন্য ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে, পূর্নাঙ্গভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকল প্রতিনিধি নিশ্চিত করে সিনেট কার্যকর করতে হবে। যদি এর কোনও সুরাহা না করা হয়, তাহলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী দেন অবস্থানরত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

কর্মসূচি আরো বক্তব্য দেন, আমানউল্লাহ আমান, নাঈম, রাকিব, সাকলাইন গৌরব, মেহেদী হাসান মুন্না প্রমুখ।

 

এসকেএইচ//