বন্ধ ঈদের নাটকের শুটিং, ক্ষতির মুখে টেলিভিশনগুলো

রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম বন্ধ ঈদের নাটকের শুটিং, ক্ষতির মুখে টেলিভিশনগুলো

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রভাব ফেলেছে দেশের টেলিভিশন শিল্পে। করোনা ঝুঁকি বিবেচনায় শুটিং করছেন না জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীরা। ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন তারা। এতে করে থমকে আছে ঈদের নাটকের শুটিং। জানা গেছে, প্রায় দেড় শ নাটকের শুটিং থমকে আছে করোনার কারণে। ঠিক সময়ে নাটকগুলোর শুটিং শেষ না করতে পারলে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন প্রযোজকরা। গেল বছর নাটকের বাজারে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল। 

দেশের পূর্ণ সম্প্রচারে থাকা ৩০টি চ্যানেলের মধ্যে বিনোদন নিয়ে কাজ করে ২২টি। এসব চ্যানেল প্রতি ঈদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একক নাটক, চার পর্বের ধারাবাহিক, সাত পর্বের ধারাবাহিক, টেলিছবি প্রচার করে। করোনার কারণে গত বছর ঈদুল ফিতরে চাহিদা অনুযায়ী নাটক, টেলিছবি প্রচার করতে পারেনি টেলিভিশনগুলো।

এ বছর শুটিং বন্ধ থাকলেও নাটকের ঘাটতি হবে না বলে মনে করেন টেলিভিশন প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে ঈদের বেশকিছু নাটকের শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নাটকের অভাব হবে না। ২৮ এপ্রিলের পর লকডাউন থাকছে না। তখন আবার নাটকের শুটিং শুরু হলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে না।”

তিনি জানান, এখনো বেশ কিছু ইউনিট শুটিং করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা কাজ করছেন। যদিও জনপ্রিয় শিল্পীরা এসব শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারাও শুটিংয়ে যোগ দেবেন।

এদিকে এবার দুইশ থেকে আড়াইশ নাটক কম হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান তারেক আখন্দ। তবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে না বলে তিনি মনে করেন।  তারেক আখন্দ বলেন, “মার্কেট যাদের ওপর নির্ভর করে সেসব তারকাদের বড় একটা অংশ এবার লকডাউনে শুটিং করছেন না। তার ফলে মানি ফ্লো ব্যাপক অর্থে বন্ধ আছে। সেটার প্রভাব বিপণন, ডিজিটাল বিপণন, আর্নিং সবকিছুর ওপর পড়বে বলে মনে হচ্ছে।  এবার দুইশ থেকে আড়াইশ নাটক কম হবে। তবে প্রভাবটা গতবারের মতো হবে না, কারণ সেবার তো আতঙ্কে সব বন্ধ ছিল। আর এবার কিছু কাজ হয়েছে। সেদিক থেকে হয়তো ক্ষতির পরিমাণটা কিছুটা কম হতে পারে।”

তবে যেসব পরিচালকরা নাটকের কাজ শেষ করতে পারছেন না তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ঠিক সময়ে চ্যানেলের কাছে কাজ জমা দিতে না পারলে ক্ষতির পাল্লাটাই ভারি হবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর একই অবস্থা। যদি তারকা শিল্পীরা কাজে না ফেরেন তাহলে এই প্ল্যাটফর্ম হুমকির মুখে পড়বে এবারের ঈদে। যদিও লকডাউন শিথিলের ঘোষণা তাদের মনে আশার সঞ্চার করছে।