যৌন হেনস্তার ভয়ানক দিনগুলোর কথা বইয়ে লিখে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় 

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২, ০৭:২২ পিএম যৌন হেনস্তার ভয়ানক দিনগুলোর কথা বইয়ে লিখে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় 

সালমান খানের ‘রেডি’, ‘সুলতান’ এ দুটো সিনেমায় ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিত হলেও বলিউডে খ্যাতি পান ‘সেক্রেড গেমস’ এ অভিনয় করেন কুবরা সৈত। এর আগেও বেশ কয়েকটি মন্তব্য করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। এবার নিজের ১৭ বছর বয়সের যৌন হেনস্তার কথা শিকার করে ফের নেট দুনিয়ায় তাক লাগিয়ে দিলেন। প্রায় দুই দশক পর নিজের সেই ভয়ানক দিনগুলোর কথা প্রকাশ্যে আনলেন ‘সেক্রেড গেমস’-এর এই অভিনেত্রী। লিখলেন নিজের ‘ওপেন বুক: নট কোয়াইট আ মেময়ার’ বইয়ের মধ্যেই।

সেই বইয়ে তিনি লেখেন, তখন মাত্র ১৭ বছর বয়স আমার। মায়ের ‘বিপদের বন্ধু’ নামক এক ব্যক্তি আমাদের পরিবারে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। সেই লোকই আমাকে লাগাতার যৌন হেনস্তা করেছে। তখন সেই ব্যক্তির নানা ধরনের হুমকির কারণেই চুপ করে ছিলাম অনেক বছর। তবে তার নাম না লিখে শুধু মুখোশ খুলেছেন সেই পারিবারিক বন্ধুটির।
 
সেই বইয়ের পাতায় তিনি আরো লেখেন, বলতে গেলে প্রায় আড়াই বছর ধরে সইতে হয়েছিল সেই যৌন নির্যাতন। তার পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিত সেই ব্যক্তি। তাই মায়ের কাছেও সত্য বিষয়টি বলতে সাহস পাননি ১৭ বছর বয়সী কিশোরী কুবরা। মায়ের কাছাকাছি থেকেই দিনের পর দিন তার (কুবরা) সঙ্গে অশালীন আচরণ চালিয়ে যায় সেই লোক। তবে নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকায় মাকে তিনি সত্যটা জানান।

ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি রেস্তরাঁয় নিয়মিত যেতেন তিনি ও তার পরিবার। সেই সূত্রেই রেস্তরাঁ মালিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পরিবারের। তার মায়ের আর্থিক সমস্যাতেও পাশে দাঁড়ায় সেই লোক। আর এই সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত যৌন নিপীড়ন শুরু করে। প্রথম সূত্রপাত গাড়িতে। পিছনের সিটে বসে তার শরীরে হাত দেয় লোকটি। ভয়ে, অস্বস্তিতে ছিলেন কিশোরী কুবরা। এর পরে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়ার সূত্রে নিয়মিত মায়ের সামনেই তার গালে চুম্বন করতেন। মা ভাবতেন, পুরোটাই স্নেহের বশে আদর করা।

শুধু তাই নয়, ঘটনাটি নিয়ে যখন কিশোরীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। তখন তার পরিবারকে সাহায্য করা থামিয়ে দেয় সে। তা নিয়ে মায়ের বকুনিও খান অভিনেত্রী। তাই সব জেনে বুঝেও সবটা গোপন রেখে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ বিবাহিত, এক সন্তানের বাবা সেই পারিবারিক ‘বন্ধু’র ওই আড়াই বছরের মধ্যেই আরও এক সন্তান হয়! এবার এই সত্যটাই নিজের বইয়ে লেখার ভাষায় প্রকাশ করে দিলেন তিনি। তবে বইটি প্রকাশ হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।