প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘ইয়াস’

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১, ০৮:৪০ এএম প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ‘ইয়াস’

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ভারতের ওড়িশা দিকে ধেয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়টি এখনই তাণ্ডব শুরু করেছে। খবর জিনিউজ ও হিন্দুস্তান টাইমস।

বুধবার (২৬ মে) সকাল ১০ থেকে ১১টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ওডিষার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায়, সকালেই ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার ধামড়া পোর্টে আছড়ে পড়বে। বর্তমানে ধামড়া থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এটি। পূর্ব মেদেনিপুরের দিঘা থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে এটি আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভোর ৩টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে মোংলা বন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার ও পায়রা বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উত্তর ওডিষা-পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে সকাল ৭টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাত দুপুরের দিকে আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।