স্বল্প পরিসরে চালু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত বার্ন ইনস্টিটিউট

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৯, ০৯:২৬ পিএম স্বল্প পরিসরে চালু হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত বার্ন ইনস্টিটিউট
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনষ্টিটিউট

জনবল কম থাকায় স্বল্প পরিসরে চালু হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারী ইনষ্টিটিউট। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ সেবামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা.জাহিদ মালেক। 

সরেজমিনে দেখা যায়, নীচ তলায় প্রথমে বার্ন অ্যান্ড প্লাষ্টিক সার্জারী সংক্রান্ত চিকিৎসা দিবে শুধুমাত্র বর্হিবিভাগে। নীচ তলায় বহুতল ভবনের পূর্ব পাশে বর্হিবিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে সারি সারি চিকিৎসকের চেম্বার। সামনে রোগী বসার জন্য চেয়ার রাখা হয়েছে। এর পাশেই রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া ও ফার্মেসি। 

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক ভাবে ৩ জন নার্সকে এখানে পদায়ন করা হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ একই প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে অন্যান্য হাসপাতাল থেকে ৫৯ জন ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে এখানে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসক পদায়ন করা হয়েছে সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয়ে এসব বিষয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
        
এবিষয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বল্প পরিসরে বার্ন ইনষ্টিটিউটের সেবা প্রক্রিয়া শুরু হলেও  এটা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে অনেক বড় আশা-আকাঙ্ক্ষা লুকিয়ে আছে। এ আশাগুলো এখন বাস্তবায়িত হবে বলে আমার বিশ্বাস। মানুষ ও সেবা পাবে পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করবেন।
     
গত বছরের ২৪ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় এ ইনস্টিটিউটটি। প্রধানমন্ত্রী নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বার্ন ইনস্টিটিউট। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুতে বিলম্ব হওয়ার পেছনে কারণ ছিলো বৈদ্যুতিক সংযোগ। 

এই হাসপাতালের জন্য প্রায় ২২শ জনবল দরকার হবে জানিয়ে এই ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে যে আদেশ আসছে, জনবল ও ঠিক করে দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রায় দুই একর জমিতে ১৮তলা ভবনে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। মাটির নিচে রয়েছে ইনস্টিটিউটের তিন তলা বেজমেন্ট, যেখানে রেডিওলজিসহ আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রয়েছে। দেশে এই প্রথমবারের মতো কোনো সরকারি হাসপাতালে একাধিক হেলিপ্যাড থাকা এই ভবনেকে ভাগ করা হয়েছ তিনটি ব্লকে। একদিকে রয়েছে বার্ন, অন্যদিকে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। তৃতীয় ব্লকটিতে থাকছে একাডেমিক ভবন। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সন্নিবেশিত এই ইনস্টিটিউটে থাকছে একশটি কেবিন। হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিটে থাকছে ৬০ বেড, ১২টি অস্ত্রোপচার থিয়েটার এবং অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির অত্যাধুনিক চিকিৎসা এখানে দেয়া হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সঙ্গে একটি ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা হবে নতুন এই ভবনের। 

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে গত ২৪ অক্টোবর এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এইচ এম/বিএস