আক্রান্তের ৯৮তম দিন
.....
গত ২৪ ঘণ্টা দেশে মারা গেছেন আরও ৪৪ জন। এর মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ১ হাজার ১৩৯ জনে।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ১৩, সিলেটের ২ রাজশাহী ৪, খুলনা ১, রংপুর ১ এবং বরিশাল ৩ জন।
বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৬ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন, বাসায় মারা গেছেন ১৪জন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন ৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ২ হাজার ৮৫৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৭ হাজার ৮২৭ জন।
শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৫৯টি ল্যাবে বর্তমানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১৪ হাজার ৩৫ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১৬ হাজার ৬৩৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৭টি।
নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মৃত্যু বিবেচনায় পুরুষের হার ৭৭ শতাংশ এবং নারী ২৩ শতাংশ। শনাক্তের বিবেচনায় পুরুষের হার ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ।
শুক্রবার (১২ জুন) শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৪৭১ ও মারা যায় ৪৬ জন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।
দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এর পর ধারবাহিকভাবে বাড়তে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। চলতি মাসের ১ জুন ২,৩৮১, ২ জুন ২,৯১১, ৩ জুন ২৬৯৫, ৪ জুন ২৪২৩, ৫ জুন ২,৮২৮, ৬ জুন ২,৬৩৫, ৭ জুন ২,৭৪৩, ৮ জুন ২,৭৩৫, ৯ জুন ৩,১৭১ জন, ১০ জুন ৩,১৯০, ১১ জুন ৩, ১৮৭ ও ১২ জুন ৩,৪৭১ শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ৪৯৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ১৪ হাজার ৫৬৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৬৮ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৫ হাজার ২২৯ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশন আছেন ৯ হাজার ৩৪০ জন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৩ জুন) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩৩০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিশ্বের ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শনিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮২৮ জনের মৃত্যুর মধ্য মৃতের তালিকাতেও দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের পরই অবস্থান করছে।
অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার ৬৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৪৩ জন।
করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫৬৬ জন। এর পরেই ইতালিতে ৩৪ হাজার ২২৩ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৩৭৭ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।
শনিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এসএমএম