লাদেনের মতোই জলে গেল বাগদাদির দেহাবশেষ

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০১৯, ০৩:৪৭ পিএম লাদেনের মতোই জলে গেল বাগদাদির দেহাবশেষ
নিহত আইএসআইএল প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি

সিরিয়ায় পরিচালিত মার্কিন সেনাবাহিনীর আইএস বিরোধী বিশেষ অভিযানে নিহত হন উগ্রপন্থী সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেটস অ্যান্ড লেভান্ত)-এর প্রধান নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। 

রোববার (২৮ অক্টোবর) বাগদাদি নিহত হওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করার পর সোমবার (২৯ অক্টোবর) ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে তার মরদেহটি সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এর আগে ২০১১ সালে ইউএস মেরিন সীলের বিশেষ অভিযানে নিহত সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃতদেহটিও সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো বলে দাবি করে মার্কিন সরকার।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি সদ্য প্রয়াত এই আইএস নেতার মৃতদেহ সাগরে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএন।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন অভিযানে বাগদাদি আত্মঘাতী হওয়ার পর তার খণ্ডবিখণ্ডিত মরদেহের ওপর ডিএনএ ও ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষা চালানো হয়। মূলত এর মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হলে তাৎক্ষণিক তাকে সমুদ্রের জলে ফেলে দেওয়া হয়।’ 

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০১১ সালে মার্কিন সেনা অভিযানে তৎকালীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়। যদিও সে সময় তার মৃতদেহও সকলের অগোচরে সমুদ্রের গভীরে ফেলে দেওয়া হয়। এবার বাগদাদির বেলাতেও সেই একই পথ অবলোপন করল যুক্তরাষ্ট্র।

ধারণা করা হচ্ছে, বাগদাদির মরদেহ সমুদ্রে না ফেলা হলে তার উগ্রবাদী অনুসারীরা সেই সমাহিত স্থানকে কেন্দ্র করে প্রচারণা ও সমাবেশ করার অপচেষ্টা চালাতে পারে। 
 
এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সিরিয়ার গোপন আস্তানায় অবস্থানকালে মার্কিন টাস্কফোর্সের এক বিশেষ অভিযানে নিহত হন বাগদাদি। এ সময় দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি পরিত্যক্ত টানেলের ভেতর কোণঠাসা হয়ে পড়া আল বাগদাদি গ্রেফতার এড়াতে নিজের সঙ্গে থাকা সুইসাইডাল ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বাগদাদির মৃতদেহ শনাক্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন প্রশাসন।

এসকে
 

আরও সংবাদ