করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সফলতায় এবার দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ চালু করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আর দুদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে না ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনেরও। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) এই ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান।
জেসিন্ডা জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল রাত থেকে ট্রান্স-তাসমান ভ্রমণের এই করিডোর চালু করছে দুই দেশ। তবে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক না হলেও, যাত্রা শুরুর আগে একজন যাত্রীকে অবশ্যই এক দেশে ১৪ দিন অবস্থান করতে হবে। এবং সর্দি বা জ্বর থাকলে তাকে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বিবিসির খবরে জানা গেছে, গত অক্টোবর থেকেই সীমিত পরিসরে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছিল দুই প্রতিবেশী দেশ। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টাইন মুক্ত ভ্রমণ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শুরু হবে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল এমনটাই জানিয়েছেন জেসিন্ডা অর্ডার্ন। গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে বর্তমানে দুই দেশেই করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি শনাক্তের সংখ্যাও প্রায় শুন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছে দুই দেশ।