শ্রীলঙ্কায় সেনাশাসন জারি, নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন রাজাপাকসে  

বিশ্ব ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১০, ২০২২, ০৭:৩৫ পিএম শ্রীলঙ্কায় সেনাশাসন জারি,  নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন রাজাপাকসে  

বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর শ্রীলঙ্কায় বিক্ষুব্ধ জনতা দেশটির শাসক রাজাপাকসে ও এমপিদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালানোর পর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় সেনা পাহারায় সরকারি বাসভবন ছেড়ে পরিবারসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নৌ ঘাঁটি ত্রিনকোমালিতে আশ্রয় নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। এদিকে দেশটির সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা প্রদান করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

মঙ্গলবার পাওয়া এই ক্ষমতাবলে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের সুযোগ পাবে নিরাপত্তা বাহিনী। খবর রয়টার্স।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা শ্রীলঙ্কায় বিগত কয়েক সপ্তাহ মূলত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। তবে সোমবার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সমর্থকরা বাইরে থেকে রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সাত বিক্ষোভকারী নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হওয়ার পর পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। সোমবার কারফিউ জারি করা হয়। মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য।

কারফিউ উপেক্ষা করে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটির হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সোমবার রাভভর সরকারি দলের নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়।

বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা বাদ দিলে মঙ্গলবার মূলত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এরপরও পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে পরোয়ানা ছাড়াই জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দিয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীকে।

মঙ্গলবার সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী কাউকে গ্রেফতার করলে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে ২৪ ঘণ্টা নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং যানবাহনে তল্লাশি চালাতে পারবে। একজন পুলিশ অফিসার কর্তৃক গ্রেফতারকৃত যেকোনও ব্যক্তিকে নিকটস্থ থানায় নিয়ে যাওয়া হবে।

ইউএম