'নারীর সাহায্যে, তার চিন্তাশীলতা ও সচেতনতায় নব সমাজের নির্মাণ সুদৃঢ় হতে পারে', কথাটি বলেছিলেন রুশ বিপ্লবের নেতা ভ্লাদিমির লেনিন।
পুরুষদের একচেটিয়া কর্মক্ষেত্রে ঘটেছে নারীদের প্রবেশ। বাসা বা অফিস-আদালতে যখন কেউ খাবার দিতে আসে, তখন ডেলিভারি দেবে একজন পুরুষ, এমনটিই আমরা ভেবে থাকি। কিন্তু আমাদের সেই ভাবনার ছবিটির পরিবর্তণ এসেছিল ২০১৮ সালে ভারতে।
দুই চাকায় চড়ে নারীরা পৌছে দিচ্ছে ঘরে ঘরে খাবার। ভারতের পুনেতে এই নয়া যুগের সূচনা করেছিল ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগি (Swiggy)। প্রথম দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল ১০ জন মহিলা ডেলিভারি অ্যাকজিকিউটিভকে। শুধুমাত্র Swiggy-ই নয়, এই নয়া জোয়ারে নাম লিখিয়েছে Foodpanda এবং Zomato। পিছিয়ে নেই Uber Eatsও। চণ্ডীগড়, কোচি, চেন্নাই এবং আহমেদাবাদে রয়েছে এদের মহিলা ডেলিভারি অ্যাকজিকিউটিভ। তবে পুনে শহরে এখনও মহিলাদের নিয়োগ করা শুরু করেনি Uber Eats।
সারা দেশ জুড়ে Swiggy-র প্রায় ৯০ হাজার ডেলিভারি অ্যাকজিকিউটিভ রয়েছেন। তারই মধ্যে ব্যতিক্রম এই ১০ মহিলা কর্মী।
বাংলাদেশও কিন্তু সেক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থা এ চমৎকার উদ্যোগটি নিয়ে থাকেন। দেশের মধ্যে লিঙ্গ সমতা এবং সাংস্কৃতিক বিভাজন তৈরির প্রচেষ্টায় তারা এ উদ্যোগটি নেন।
২০১৯ সাল থেকে ফুডপান্ডা নারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেন। বর্তমানে ফুডপান্ডাতে ১০ জন নারী ফুড ডেলিভারিতে কাজ করছেন। ঢাকা জেলার মধ্যে ধানমন্ডিতে ২ জন, মিরপুরে ১ জন, উত্তরাতে ১ জন কাজ করছেন। ঢাকার বাইরে কুষ্টিয়াতে রয়েছে ২ জন এবং বরিশালে ২ জন কাজ করছেন।
ফুডপান্ডার মতো বড় সংস্থার এমন একটি উয্যোগ নিঃসেন্দেহে বাংলাদেশে সমতা বৃদ্ধি ও গ্রহণযোগ্যতার জায়গায় একটি বড় পরিবর্তণ আনবে।
বিশ্বের সব নারীরা এভাবেই বন্ধ সব দরজা খুলে বেড়িয়ে এসে নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুক। সকল ট্যাবুকে না বলে এগিয়ে যাক সামনের দিকে।