জমজ ভাইয়ের উড়োজাহাজ ক্যাফে

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২১, ১১:১৯ এএম জমজ ভাইয়ের উড়োজাহাজ ক্যাফে
সংগৃহীত ছবি

পুরনো বোয়িং ৭০৭ উড়োজাহাজকে রেস্তোরাঁয় রূপান্তর করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দুই সহোদর।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দারুণ এই রেস্তোরাঁ চালু করেন তারা। ফলে এখন খেতে গিয়েই উড়োজাহাজে চেপে বসার অনুভূতি পাবেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।

জমজ দুই ভাই খামিস আল সাইরাফি ও আতা আল সাইরাফির এ রেস্তোরাঁ তৈরির গল্পটা বেশ লম্বা।

দুই ভাইয়ের ভাষ্য, ৯৯ শতাংশ ফিলিস্তিনি কখনই উড়োজাহাজে চড়েনি। কেবল কিছু রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, মন্ত্রী ও মেয়রের মতো মানুষ উড়োজাহাজ ভ্রমণের অনুভূতি পেয়েছেন।

তাদের এ রেস্তোরাঁর মাধ্যমে এখন সাধারণ মানুষ অন্তত উড়োজাহাজ কেমন হয় সে ধারণাটুকু পাবে। এটাই তাদের ভালো লাগার বিষয়।  

পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ধারে বছরের পর বছর ধরে পড়ে ছিল এ উড়োজাহাজ। ৬০ বছর বয়সী জমজ দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরেই বাহনটিকে রেস্তোরাঁয় রূপান্তরের স্বপ্ন দেখছিলেন। এক দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে তারা সফল হয়েছেন।

প্রায় ২৫ বছরের চেষ্টার পর দুই ভাই মিলে রেস্তোরাঁটি চালু করতে পেরেছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘প্যালেস্টাইন-জর্ডানিয়ান এয়ারলাইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কফি শপ আল সাইরাফি’।

গত ২১ জুলাই থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলেছে বিশেষ এ রেস্তোরাঁর দুয়ার।

মূল উড়োজাহাজের নিচের অংশে চালু হয়েছে ক্যাফে। অনেকেই আবার আসছেন বাহনটির ভেতরে বসে ছবি তোলার জন্য। অবশ্য সেজন্য আলাদা মূল্যও পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর এর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র দেড় ডলার। টাইমস অব ইসরায়েল।

জাগরণ/এসএসকে