ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫৭ বছরে পদার্পন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০১৯, ০৫:৩৩ পিএম ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫৭ বছরে পদার্পন
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫৭ বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি -ছবি : জাগরণ

‘ন্যায়বিচারের জন্য সাংবাদিকতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার সামন থেকে র‌্যালির মাধ্যমে এ দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে বিভাগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক শবনম আযীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। অনুষ্ঠানে ‘ন্যায়বিচারের জন্য সাংবাদিকতা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। 

স্মারক বক্তৃতায় মনজুরুল ইসলাম বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। অথচ সমাজের সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের অভাব দেখা যাচ্ছে। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

মিডিয়া ব্যবহার করে সমাজের অনেক সমস্যা সমাধান করা যায় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমের মন্দ দিক ঝেড়ে ফেলে ভালো দিক নিলে এই ধারার মাধ্যম হতে পারে নাগরিক সাংবাদিকতার বড় প্রকাশ। সর্বক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের সমাজে চরম অস্থিরতার একটি পর্ব চলছে। সহনশীলতার চরম ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি। সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য গণমাধ্যমকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।

দেশের গণমাধ্যমগুলো করপোরেট সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকছে মন্তব্য করে অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, শুধু ঘটনা প্রকাশ নয়, ঘটনার গভীর থেকে তথ্য তুলে এনে মানুষকে সত্য জানাতে হবে। তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য দায়বদ্ধতা সাংবাদিকতা শাস্ত্রের শিক্ষা। সামাজিক ন্যায়বিচার কিংবা নিপীড়িতের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্যই সাংবাদিকতা।

অনুষ্ঠানে বিভাগের দুই কৃতী শিক্ষার্থীকে ২০১৮ সালে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মেহজাবীন বশীর তুলি এবং এস এম শামস রহমান।


এমআইআর/একেএস
 

আরও সংবাদ