জঙ্গলে সপ্তম শ্রেণি ছাত্রীর পোড়া লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহ (গফরগাঁও) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ০৬:২৯ পিএম জঙ্গলে সপ্তম শ্রেণি ছাত্রীর পোড়া লাশ উদ্ধার
পোড়া লাশ। জাগরণ।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের কদম রসুলপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগান (জঙ্গল) থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর পোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাড়ি থেকে ওই বাঁশবাগান আনুমানিক ২০০ গজ দূরে।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার মধ্য রাতের কোনো এক সময় ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়। পুলিশ বলছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড।

যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তার নাম মারুফা আক্তার (১৪)। সে কমদ রসুলপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মজিবর রহমানের মেয়ে। নিহত মারুফা ত্রিশাল উপজেলার রায়গ্রামের আইওবিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মারুফার পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মা বেদেনা খাতুনের সাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরে মারুফা। শেষরাতে মারুফাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে রাহিমা তার বাবা মজিবর রহমান ও মা বেদেনা খাতুনকে জানায়। পরে তারা বাড়ির অন্যদের নিয়ে মারুফাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে মজিবর রহমান, তার দুইভাই দুলাল মিয়া ও শহিদুল ইসলাম বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে চৌড়াভিটার জঙ্গলে মারুফার পুড়িয়ে ফেলা লাশ দেখতে পায়। 

মারুফার বাবা মজিবুর রহমান বলেন, রাত ১ টার দিকে ঘর থেকে বের হলেও ফজর পর্যন্ত মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথাও পায়নি। পরে বুধবার জঙ্গলে মুখসহ শরীরের অর্ধেক অংশ পোড়া অবস্থায় তার মেয়ের লাশ পাই। যারা আমার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।

এলাকাবাসীর ধারণা, হয়তো কেউ কৌশলে মারুফাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে ধর্ষণ শেষে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। 

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ময়লার জঙ্গল থেকে ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। কিশোরীর শরীর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। 

মেয়েটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, মনে করা হচ্ছে, নিসন্দেহে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। যেহেতু পোড়া লাশ তাই এই মূহুর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না ধর্ষণের মতো জঘন্য কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না। লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা রহস্যে উদঘাটনে গফরগাঁও থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।

 

 

এসকেএইচ//