পুরানো চেহারায় ফিরছে লাউতলা খাল

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২, ১২:০৬ এএম পুরানো চেহারায় ফিরছে লাউতলা খাল
সংগৃহীত ছবি

ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদের পর, দ্রুততায় এগুচ্ছে বসিলার লাউতলা খালের বড় একটি অংশের পুনঃখনন কাজ। রাতারাতি খালের প্রায় ২০০ জায়গা খনন করা হয়ে গেছে। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এমন অভাবনীয় অভিযানের পাশাপাশি চলছে খালের জায়গায় থাকা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজও। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ঘটনাস্থলে গিয়ে পাওয়া গেলো, এক অসম্ভবকে সম্ভব করার গল্প। অবৈধ দখলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বসিলার লাউতলা খাল আবার ফিরছে তার পুরনো রূপে। 

আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির ৫০০ মিটারই ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়া হয়েছিলো। এর বড় একটি অংশ ছিলো অবৈধ ট্রাক স্ট্যান্ডের দখলে। 

সোমবারের অভিযানে সেটি উচ্ছেদের পর এখন সেখানে পুরোদমে চলছে খাল পুনঃখনন কাজ। খুব দ্রুততার সঙ্গে আবারো নিজের হারানো রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে লাউতলা খালটি।

প্রাথমিক খননকাজ শেষ হলে রামচন্দ্রপুর খালের সাথে লাউতলা খালের সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে। ১০০ ফুট চওড়া খালের দুই পাড় সাজবে নান্দনিক রূপে। 

তৈরি হবে একটি পার্ক। দখল ঠেকাতে নদীর মতো খালেরও পাড়েও সীমানা পিলার বসানোর কথা জানালেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, টানা তিনদিনের অভিযানে অস্তিত্বহীন লাউতলা খালটি এখন দৃশ্যমান, স্থানীয় জনগণের আন্তরিক সহযোগিতায় অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে।

তিনি জানান, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডিএনসিসির সব খালের সীমানা নির্ধারণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সব খালে সীমানা পিলার বসানো, ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ হবে।

সব খালের উভয় পাশেই নির্ধারিত সীমানার কমপক্ষে ২০ ফুট পর্যন্ত কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। ব্যস্ত এলাকা থেকে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলো সরিয়ে সুবিধাজনক স্থানে নেয়া হবে।

অভিযানের তৃতীয় দিনে উচ্ছেদ কার্যক্রম দেখতে আসেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, কয়েকজন মানুষের কারণে রাজধানীর দুই কোটি মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হতে পারে না। অবৈধভাবে দখল হওয়া সব খাল উদ্ধার করা হবে।

এরইমধ্যে যেসব খাল উদ্ধার হয়েছে সেগুলো সংস্কার করা হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীকে বাসযোগ্য নগর উপহার দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

খালের একটি অংশে যখন খননকাজ চলছিলো, অন্য অংশে তখন সমানতালে চলছিলো উচ্ছেদ। কয়েক দিনের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

জাগরণ/এসএসকে/এমএ