গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের লজ্জা পাওয়া উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২২, ০৪:০৯ পিএম গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের লজ্জা পাওয়া উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চাওয়ায় পাকিস্তানের লজ্জা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। 

শনিবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক। আমি সবসময় বলি, পাকিস্তানিদের লজ্জা পাওয়া উচিত। তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের মিলিটারি যোদ্ধারা এত বড় অপকর্ম ও গণহত্যা করেছে। এমনকি পাকিস্তান সরকারের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, এরা অতিরিক্ত নির্যাতন করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা দেশি–বিদেশি সব মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে। পাকিস্তানের সরকারের তাদের শাস্তি দেয়া উচিত। পাকিস্তান সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্ম ক্ষমা চাওয়ার জন্য এগিয়ে আসবে। পাকিস্তানের নিজেদের যদি এটা (গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া) উপলব্ধি না হয়, তাহলে আরও অপকর্ম করার আশঙ্কা আছে। সেই কারণে এই দিনে আশা করি, পাকিস্তান জাতীয়ভাবে আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবে। তারা ওয়াদা করেছিল ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে তারা শাস্তি দেবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ মার্চ গণহত্যাকে আমরা নিজের দেশে আগে স্বীকৃতি দিয়েছি। তবে জাতিসংঘে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। রুয়ান্ডা, আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়াও আবেদন জানিয়েছিল। সে পরিপ্রেক্ষিতে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধু স্মরণে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। 

তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


 

এসকেএইচ//