তেঁতুলতলা মাঠে হচ্ছে না কলাবাগান থানা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৬:২৯ পিএম তেঁতুলতলা মাঠে হচ্ছে না কলাবাগান থানা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

তেঁতুলতলা মাঠের মালিকানায় কলাবাগান থানা থাকলেও আপাতত সেখানে থানা ভবন নির্মাণ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য মাঠটি উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা ওই জায়গার জন্য অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখলাম, ওই এলাকায় খেলার জায়গাই নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু খালি জায়গা নেই, বিনোদনের কিছু নেই; সেজন্য তিনি বলেছেন পুলিশের জমি সেভাবে থাকুক। কোনো কনস্ট্রাকশন যেন না হয়। যেভাবে চলছে চলতে থাকুক।’ 

যে প্রাচীর নির্মাণ হয়েছে তা কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাঠ আগে যেভাবে ব্যবহৃত হত সেভাবেই সেটা এলাকার মানুষ ব্যবহার করবে। প্রাচীর খুব বেশি হয়নি। আপনারা গিয়ে দেখবেন, প্রাচীর খুব বেশি হয়নি। যদি কিছু অসুবিধা হয় সেগুলো আমরা দেখবো। কিন্ত আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, জায়গাটা পুলিশের এবং পুলিশেরই থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণও পুলিশই করবে।’

কলাবাগান থানা কোথায় হবে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমরা দেখবো এখন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী এখন জায়গাটা যেভাবে ব্যবহার করা হতো সেভাবেই ব্যবহার করা হবে। এখানে আপাতত আর কোন নির্মাণ কাজ হবে না।’ 

গত রবিবার (২৪ এপ্রিল) খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতা এবং মাঠে থানা নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে প্রিয়াংশুকে আটক করে পুলিশ। পরে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে ১৩ ঘণ্টা আটক রাখার পর মুচলেকা দিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলতলা মাঠটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। মাঠটি মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময় থেকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছোট এই মাঠে এলাকার শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা করে। এ ছাড়া ঈদের নামাজ, স্থানীয় কেউ মারা গেলে তাঁর জানাজা এবং সামাজিক অনুষ্ঠানও হয় এই তেঁতুলতলা মাঠে। ২০২০ সালের দিকে ওই মাঠে ‘কলাবাগান থানার জন্য নির্ধারিত স্থান’ লেখা সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে তখন সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হলেও চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মাঠ ঘিরে দেওয়া হয়। বসানো হয় পুলিশের পাহারা।

 

এসকেএইচ//