চালের বাজার কমতির দিকে

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২২, ১২:৪৯ এএম চালের বাজার কমতির দিকে
ফাইল ফটো

ভারত থেকে চাল রফতানিতে শুল্ক উঠিয়ে দেয়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। দরিদ্রের জন্য ন্যায্যমূল্যে চাল দেয়ার কর্মসূচির প্রভাবও পড়েছে বাজারে।

তারপরও দাম যতোটা কমেছে এটিকেও যথেষ্ট বলছেন না বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, যে হারে দাম বাড়ছে সেই হারে কমছে না। ফলে এতে সুফল পাবে না ক্রেতারা। 

বাজারে ঊর্ধ্বগতির লাগাম ধরতে আমদানি শুল্ক উঠিয়ে দিয়েছে সরকার। শুল্ক না থাকায় দেশের চালের সিন্ডিকেট বাজারেও প্রভাব পড়েছে। 

কমতে শুরু করেছে দেশীয় সব চালের দাম। শুধু পোলাও’র চালের দাম একই রকম আছে। 

গেলো সপ্তাহেও মিনিকেট চালের দাম ছিলো প্রকার ভেদে সর্বোচ্চ ৭২ টাকা। ভারতীয় চাল আমদানির কারণে তা এখন দাম ৬৯ টাকা। 

বিআর-২৮ চালের দাম ৫২ টাকা। যা ছিলো ৫৪ টাকা। পাইজাম ৫২-৫৩ থেকে ৫১-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারটারী নাজিরশাইল ছিল সর্বোচ্চ ৮৬ টাকা। 

গত সপ্তাহে ছিল ৮৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিন পরই নতুন ধান বাজারে আসবে। সরকার চাল আমদানিতেও শুল্ক উঠিয়ে নিয়েছে। তাই মজুদদাররা চাল মজুদ করছে না। 

তারা আরও বলেন, খোলা বাজারে ট্রাক সেল ও কার্ডের মাধ্যমে অল্প দামে চাল বিক্রি করায় নিম্ন আয়ের মানুষ বাজারে কম আসছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগে দামে প্রভাব পড়েছে। 

তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে দাম নিয়ে। কেউ বলছেন দাম বেড়েছে আবার কেউ বলছেন কমেছে। তবে পাইকারি বাজার ঘুরে কমার চিত্রই দেখা গেছে। 

কৃষিবিদরা বলছেন, সরকারিভাবে আমদানি শুল্ক উঠিয়ে নেয়ায় নতুন ধান বা চাল বাজারে আসলে কৃষকের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এবার চালের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। তাই কৃষকদের বাঁচাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার তাগিদ দেন কৃষি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতরা। 

জাগরণ/অর্থনীতি/এসএসকে