ট্রাস্টের টাকা থেকে বাসার চা-কফির খরচ নেন ড. ইউনূস

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ১২:৪৪ এএম ট্রাস্টের টাকা থেকে বাসার চা-কফির খরচ নেন ড. ইউনূস
নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ● ফাইল ফটো

যে ট্রাস্টে টাকা দান করেছেন সেই ট্রাস্ট থেকেই নিজের বাসার চা-কফির খরচ থেকে বিদ্যুৎ বিল পর্যন্ত সব নেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। এমনকি ট্রাস্ট পরিচালনার সব ক্ষমতাও তার নিজের হাতে। 

দলিলে উল্লেখ করা সমাজ সেবার নামের এই ট্রাস্টকে কর ফাঁকির আয়োজন বলে দাবি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন। 

আদালতে হাজিরা দিতে এলেও কখনো ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের গণমাধ্যমে নিজের অবস্থান জানিয়ে কথা বলেন না। এমনকি তার আইনজীবীরাও আদালতে যেসব যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন সেই বিষয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান। 

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জানান, কর ফাঁকি নিয়ে হয়েছে শুনানি।

নথি থেকে দেখা যায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৬ কোটি টাকা সাউথ ইস্ট ব্যাংকে এফডিআর করা হয়েছে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টের নামে। এই একাউন্ট খোলার সময় কোনো ফরম পূরণ করা হয়নি। নেই কোনো স্বাক্ষর কার্ড। এমনকি কোন রেজুলেশনে ট্রাস্ট এই হিসাব খুললো তাও মিলছে না। শুধুমাত্র একটি ট্রাস্ট দলিল মিলেছে, যা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে ২০০৯ সালে। 

আয়কর নথিতে মৃত্যুচিন্তার কথা বলে ট্রাস্টের অর্থের কর না দেওয়ার মতলব ছিল বলছে রাজস্ব বিভাগ ও আইনী যুক্তি। 

আদালতে জমা দেওয়া নথি আর ব্যাংক হিসাবের সাথে যুক্ত দলিল থেকে জানা যায়, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টের ট্রাস্টি তিনজন। তিনি নিজে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। বাকি দু'জনের একজন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক অধ্যাপক এইচ আই লতিফ ও আরেকজন গ্রামীণ ব্যাংক ও টেলিকমের সাবেক ট্রাষ্টি নুরজাহান বেগম। 

সমাজ সেবার পাশাপাশি চুক্তির ৯ নম্বরে বলা হয়েছে এই ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা, তার স্ত্রী অধ্যাপক আফরোজি ইউনূস, দুই কন্যা মনিকা ইউনূস, দীনা আফরোজ ইউনূস ও তার পোষ্যদের রক্ষার জন্য।

আয়কর নথিতে নিজের করা সইয়ে নিজের পরিবারের ব্যয় যে ট্রাস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে সেই হিসাব নিজেই জমাও দিয়েছেন তিনি। যাতে দেখা যায়, উৎসব–আপ্যায়নের জন্য ৪৭ লাখ, টেলিফোন বিল ৩৫ হাজারসহ টাকা আর ট্রাস্টের বাড়ি-গাড়ি ড্রাইভার সব ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করছেন ড. ইউনূস, যা আইন ও নৈতিকতার সাথে সাংষর্ষিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই ট্রাষ্টের ৭৭ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলার রায় হবে আগামী ৩১ মে। 

জাগরণ/জাতীয়/এসএসকে