চার জেলায় বন্যা

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩, ০১:২৬ এএম চার জেলায় বন্যা
ছবি ● সংগৃহীত

উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে আবার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে দেশের ভেতরের নদ-নদীগুলোর পানি। এই পানি বৃদ্ধি আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্তমানে দেশের চারটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে। আরও কিছু নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ওঠার শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে চার জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত। এই পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন করে আরও কিছু এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদী ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।

 পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায়, তিস্তা ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি কমতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

কেন্দ্র জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশন আছে ১০৯টি। এরমধ্যে পানি বেড়েছে ৬৯টি স্টেশনের, কমেছে ৩৬টির আর অপরিবর্তিত আছে ৪টির। এদিকে বিপদসীমার ওপরে আছে এখন ৪টি স্টেশনের পানি, এতে বন্যা কবলিত জেলার সংখ্যাও এখন ৪।

বর্তমানে কমলাকান্দার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমা ৮ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। একইভাবে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২ মিটার, দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি ৪৯, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার ২১ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। 

যমুনা নদী ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ওঠার শঙ্কা রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে, ৯০ মিলিমিটার।  টাঙ্গাইলে ৭৫, ফরিদপুরে ৬ এবং পাটেশ্বরীতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

 ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪০ মিলিমিটার এবং জলপাইগুঁড়িতে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

জাগরণ/পরিবেশ/এসএসকে