জাতীয় নির্বাচন

প্রাথমিকভাবে ৬৮ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা চূড়ান্ত

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩, ১২:২৩ এএম প্রাথমিকভাবে ৬৮ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা চূড়ান্ত
ছবি ● ফাইল ফটো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬৮ দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে দাবি/আপত্তি/অভিযোগের বিষয়ে ১৫ দিনের সময় দিয়ে মঙ্গলবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। পরে দাবি/আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্তভাবে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে আগামী ৫ বছরের জন্য অন্তর্ভূক্তি করবে ইসি।

ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হকের স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি বুধবার দেশের গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হবে। পাশাপাশি ইসির ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দেশের ১৯৯টি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করে। পরে ইসির গঠন করা সাত সদস্যের একটি কমিটি আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই–বাছাই করে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে।

সর্বশেষ ১১৮টি সংস্থা ইসির নিবন্ধন ছিল। যাদের ৫ বছরের মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার আবেদন করা সংস্থার মধ্যে ৪০টি রয়েছে যারা আগে নিবন্ধিত ছিল।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযোজন করা হয় এবং ইসি একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে।

২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। এর মধ্যে ৭৫টি সংস্থার এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তবে এর আগেও দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেতেন।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় ৬৯টি সংস্থার দুই লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। ১১ জুলাই এসব সংস্থার পাঁচ বছরের নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধনের জন্য ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১৯৯টি সংস্থা আবেদন করে। নির্বাচন কমিশন গঠিত সাত সদস্যের বাছাই কমিটি ২১০টি সংস্থার মধ্যে প্রাথমিক যাচাই শেষে ৯৪টি সংস্থার তালিকা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করে। মঙ্গলবার কমিশন ৬৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে।

ইসির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব সংস্থা গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং গঠনতন্ত্রে এ বিষয়সহ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ব করার অঙ্গীকারকারী সংস্থা আবেদনের যোগ্য হবে।

বাছাইয়ে নির্বাচিত ৬৮ সংস্থা

মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস, ঢাকা; সেবা সোস্যাল ফাউন্ডেশন, লক্ষ্মীপুর; অগ্রদূত সংস্থা (এএস), ভোলা; একটিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নীডস, আরবান, নেত্রকোনা; হাইলাইট ফাউন্ডেশন, ফরিদপুর; মুভ ফাউন্ডেশন, সবুজবাগ, ঢাকা; ডেমক্রেসি ওয়াচ, ঢাকা; জানিপপ-জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ, ঢাকা, ডিসএ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন এ্যাক্টিভিটিজ (দিয়া) ঝিনাইদহ; আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), পাবনা;  আব্দুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, ঢাকা; এসডাপ, ঝিনাইদহ; বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, ঢাকা; লুৎফর রহমান ভূইয়া ফাউন্ডেশন (এলআরবি) ঢাকা; সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যশোর; যুব উন্নয়ন সংস্থা, ভোলা; শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), ঢাকা; বঞ্চিতা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, যশোর; কেরাণীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, ঢাকা; এসকে কল্যাণী ফাউন্ডেশন সোসাইটি ফর সোশ্যাল এডভান্সমেন্ট অব রুরাল পিপল (সাপ), ঢাকা;  সেতু রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসআরডিএস), রংপুর, সোসাইটি ফর ট্রেনিং এন্ড রিহেবিলিটেশন (স্টার), গোপালগঞ্জ; রুরাল এসোসিয়েশন ফর সোস্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট (রাসা), লালমনিরহাট; ডেভেলপমেন্ট হেল্পিং কী (ডিএইচকে), নেত্রকোনা;  তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন (টাইডা), বগুড়া; স্বাস্থ্য শিক্ষা সেবা ফাউন্ডেশন (সেফ), রাজশাহী; বাঁচতে শেখা, যশোর; ডপস ফাউন্ডেশন, রংপুর, এসোসিয়েশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ, মিরপুর; ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), মোহাম্মদপুর; ভলান্টরী অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ডেভেলপমেন্ট (ভোসড), ক্রিয়েটিভ সোসাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), মানিকগঞ্জ; জেন্ডার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (জেমস) লক্ষ্মীপুর;  ডেপ ( ডেভেলপমেন্ট এডুকেশন এন্ড পীস), খুলনা; বেসিক, দিনাজপুর; হিউম্যান রাইটস ভয়েস, যশোর;  সমাজ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে), জামালপুর; রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা (রাস), রাজবাড়ী; ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি), যশোর; গরীব উন্নয়ন সংস্থা (জি,ইউ,এস), কুড়িগ্রাম;  সমাহার-মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিচার্স এ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট ফাউন্ডেশেন, মোহাম্মদপুর; সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (সাস), নলছিটি, ঝালকাঠী; হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ, মোহাম্মদপুর; ডেভেলপমেন্ট অব মহিলা সোসাইটি (ডিএমএস), খুলনা; সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও),জামালপুর; রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন-রিহাফ, পূর্ব বাড্ডা; সোস্যাল ইক্যুআলিটি ফর ইফেকটিভ ডেভেলপমেন্ট (সীড), রংপুর; ইন্টিগ্রেটেড সোসাইটি ফর রেইজ অব হোপ (রিশ), আদাবর, ঢাকা;  সমন্বিত নারী উন্নয়ন সংস্থা (এস.এন.ইউ.এস), রাজবাড়ী; পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), পাবনা; শীল্ড (সোসাইটি ফর হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট এন্ড লাস্টিং ডিভেল্যাপমেন্ট), আশুলিয়া, সাভার; সেজুতি হেলথ এন্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিডফ),পটুয়াখালী; এসো জাতি গড়ি (এজাগ), ফরিদপুর; ওয়েসডা, খুলনা; সোশ্যাল এ্যাডভান্সমেন্ট এন্ড কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), পটুয়াখালী; ফোরাম ফর ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (এফএফডিএ), ঢাকা; প্রকাশ গণ কেন্দ্র, যশোর; রুরাল এন্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (রাউডো), জামালপুর; সার্ভিসেস ফর ইকুয়িটি এন্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট (সীড), যশোর; তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, ময়মনসিংহ; হিউম্যান ইকনোমিক  ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি-হিডস, ময়মনসিংহ; রুরাল এডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ-‘র‍্যাক-বাংলাদেশ’ কিশোরগঞ্জ; গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) বগুড়া, ইকো-কনসার্ন এ্যাসিাসিয়েশন, রামপুরা, ঢাকা; হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশন গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (এটক),মানিকগঞ্জ; এসো বাঁচতে শিখি (এবাস) কেশবপুর, যশোর। 

আগে নিবন্ধিত ছিল আবার নিবন্ধনের জন্য টিকছে এমন ২৯টি সংস্থার মধ্যে রয়েছে–মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (মওসুস), সেবা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন, অগ্রদূত সংস্থা, এক্টিভিটি ফর রিফরমেশন অফ বেসিক নিডস (আরবান), হাইলাইট ফাউন্ডেশন, মুভ ফাউন্ডেশন, ডেমাক্রেসি ওয়াচ, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ), ডিসঅ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন এক্টিভিটিস (দিয়া),আব্দুল মোমেন খান মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, এসডাপ, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন, লুৎফর রহমান ভুঁইয়া ফাউন্ডেশন, সমাজ উন্নয়ন প্রয়াস, যুব উন্নয়ন সংস্থা, তালতলা যুব উন্নয়ন সংগঠন, বাঁচতে শেখা, এসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অফ বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট ফর এনভারমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি), ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন (রিহ্যাপ),পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), এসো জাতি গড়ি, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট এন্ড কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (সাকো), ফোরাম ফোর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিযে়শন (এফএফডিএ),তৃণমুল উন্নয়ন সংস্থা, রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ (র‍্যাক বাংলাদেশ), গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে), ডেভলপমেন্ট এডুকেশন এন্ড পিস (ডেপ)।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযোজন করা হয় এবং ইসি একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। এর মধ্যে ৭৫টি সংস্থার ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তবে এর আগেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেত। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় ৬৯টি সংস্থার ২ লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। আর সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।

জাগরণ/জাতীয়নির্বাচন/এসএসকে