সফরের বাকি অংশে সাকিবকে নিয়ে অনিশ্চয়তা

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২, ১০:৪৩ এএম সফরের বাকি অংশে সাকিবকে নিয়ে অনিশ্চয়তা
ফাইল ফটো

দক্ষিণ আফ্রিকায় আসার দুই দিন পরই সাকিব আল হাসান শুনতে পান দুঃসংবাদটা। তাঁর মা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সর্বশেষ গতকাল সাকিব জানলেন, অসুস্থ তাঁর সন্তানেরাও। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সফরের বাকি অংশে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁর খেলা। 

কাল রাতে জোহানেসবার্গে এমনও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, অসুস্থ মা ও সন্তানদের পাশে থাকতে সাকিব হয়তো ওয়ানডে সিরিজ অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে যেতে পারেন। তবে সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘এখন সবাই মোটামুটি ভালো আছে।’ তাঁর দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে সাকিবের উত্তর, ‘এখনো এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না।’

টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্র জানিয়েছে, অন্তত ২৩ মার্চের তৃতীয় ওয়ানডের আগে সাকিবের দেশে ফেরার সম্ভাবনা কাল রাত পর্যন্তও ছিল না। তিনি শেষ ওয়ানডেতেও খেলবেন, এখন পর্যন্ত এটাই সিদ্ধান্ত। তা ছাড়া ঢাকা থেকে খবর এসেছে, সাকিবের মা ও সন্তানদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।

তবে ওয়ানডে সিরিজের পর এবং টেস্ট সিরিজের আগে যেহেতু ছয় দিন বিরতি আছে, খুব প্রয়োজন হলে তখন হয়তো একবার ঢাকায় ঘুরে আসতে পারেন সাকিব। সবকিছুই নির্ভর করছে তাঁর মা ও সন্তানদের শারীরিক অবস্থার ওপর।

জানা গেছে, সাকিবের মা ১৫ মার্চ থেকেই হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর ছোট দুই সন্তানেরও  নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। কিছুটা অসুস্থ বড় মেয়েও। এ ছাড়া সাকিবের শাশুড়িও অসুস্থ বলে জানা গেছে।

এর আগে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কারণে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে চাননি। পরে আবার নিজেই বিসিবিকে জানান, তিনি পুরো সিরিজে খেলবেন। এরপর দলের পেছন পেছন সাকিবও চলে আসেন জোহানেসবার্গে।

সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাকিব। কাল ওয়ান্ডারার্সে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৬ বল খেলে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। অবশ্য ঢাকা থেকে একের পর এক দুঃসংবাদ শুনে যে মানসিক অবস্থা নিয়ে কাল তিনি খেলেছেন, তাতে খেলায় মন দেয়াটাই হয়তো কঠিন ছিল সাকিবের জন্য।

২৩ মার্চ ওয়ানডে সিরিজ শেষে ডারবানে ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল।

 

এসকেএইচ//