• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৪:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম

যাহা পাই তাহা চাই না

যাহা পাই তাহা চাই না

দেশজুড়ে যখন ডেঙ্গুর আতঙ্ক মানুষের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পাগলপারা হয়ে ছুটছে সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ, ঠিক তখনই একেবারে অসংলগ্ন এক দাবি নিয়ে গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া বানানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি ডেঙ্গু প্রতিরোধ নয়, জনগণের মঙ্গল নয়। তাদের দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি! দেশের এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতির মাঝে কেন তাদের এমন উটকো দাবি নিয়ে লাফঝাঁপ শুরু হলো, কীসের ভিত্তিতে এ সময়টিকেই তারা আদর্শ ভাবলেন আর আসল প্রেক্ষাপটটি কী- সংশ্লিষ্ট এ বিষয়গুলো তুলে ধরে বোধ করি কিছু ব্যাপার পরিষ্কার করার সময় এসেছে। দেশ, জনগণ ও সরকার- এই ত্রিশূলের কোনো ফলাই যে ভেঙে পড়েনি, জানানোর আছে সেটিও।

একটি বিশেষ পক্ষ যেন সরকারের সমালোচনা আর তা যতটা সম্ভব রঙ চড়িয়ে মানুষের সামনে উপস্থাপন করাটাই নিজেদের করণীয় হিসেবে ধার্য করে নিয়েছে। অবশ্য যাদের নিজেদের প্রসঙ্গে ইতিবাচক কিছু উপস্থাপনের সামর্থ্য নেই তারা পরচর্চাকেই উপার্য বলে ধরে নেন অন্যের কুৎসা রটাতে, এটাই বাস্তব। কারণ তারা নিজেদের নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় আর অন্যকে নিয়ে ভাবা তাদের ভাবনাগুলো বরাবরই কুৎসিত। সরকারের সমালোচনার নামে যেসব মন্তব্য তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো রীতিমত বিভ্রান্তিকর। সবকিছুতেই তাদের রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রচেষ্টা সংকটের চেয়ে আতঙ্কের প্রকোপ আরও বেশি সৃষ্টি করছে। সমস্যা সমাধানে একটি পরামর্শ দেয়ার সামর্থ্য যাদের নেই, তারা নিরন্তন মানুষের মাঝে এই যে আতঙ্কের বিস্তার ঘটিয়ে চলেছেন, এদের মূল উদ্দেশ্য আসলে কী?

যাদের নিজেদের প্রসঙ্গে ইতিবাচক কিছু উপস্থাপনের সামর্থ্য নেই তারা পরচর্চাকেই উপার্য বলে ধরে নেন অন্যের কুৎসা রটাতে, এটাই বাস্তব। কারণ তারা নিজেদের নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় আর অন্যকে নিয়ে ভাবা তাদের ভাবনাগুলো বরাবরই কুৎসিত।

অথচ এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতির মাঝেও এদেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসা ক্ষেত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কীভাবে নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন, আকস্মিক এই ব্যাধির প্রাদুর্ভাব রোধে মানুষ কিভাবে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সোচ্চার হয়ে উঠছেন বা কতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থতা অর্জন করেছেন, তা নিয়ে কোনো কথাই শোনা যাচ্ছে না। যেকোনো সংকটের মাঝে দু'একটি ইতিবাচক সংবাদ মানুষকে সেই সংকট মোকাবেলায় মানসিক শক্তি যোগান দেয়। ডেঙ্গুর এই চলমান সংকটের ক্ষেত্রেও আমাদের সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা উচিত। এমন আশার বার্তাগুলো হয়তো সংকট নির্মূল করবে না। তবে মানুষের মাঝে বিরাজমান আতঙ্ক দূর করে লড়াই করে যাওয়ার জন্য মনোবল বৃদ্ধি করবে। আতঙ্কের বিস্তারে যারা এত তৎপর-ইতিবাচকতার প্রসারে, মানুষের মাঝে একটু মনোবল সৃষ্টির ব্যাপারে কেন এত কৃপণতা তাদের! 

দেশব্যাপী ডেঙ্গুজ্বরের যে প্রকোপ সৃষ্টি হয়েছে, তা প্রতিরোধে দেশের মানুষ এবং সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্র প্রাণান্তকর লড়াই করে যাচ্ছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার মতো রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব ঘটে বাংলাদেশে। তবে এবার এর মাত্রা খানিকটা বেশি। আর তাই ব্যস্ততাও বেশি। আপাতদৃষ্টিতে বলা যায়, জনসাধারণের খানিক অসাবধানতা আর সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিতেই এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এতটা বিস্তৃত হয়েছে। আসলে সেটাই সবকিছুর শেষ কথা নয়। মূল বিষয়টি হচ্ছে, এবার ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষতিকারক প্রভাবের মাত্রা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণঘাতী। আর এখানে মূল বিপত্তির উৎপত্তি।

সে যাই হোক, এক কথায় এটাই বলা চলে যে এ সংকট এখন সারাদেশের। আর তাই দেশের জনগণ ও সরকার সমন্বিতভাবে এ সংকট মোকাবেলায় নেমেছে। এরই মাঝে দেখা গেছে, যে বা যারাই এ বিষয়ে ন্যূনতম অসচেতনতা প্রদর্শন করেছেন বা গা ছাড়া আচরণ দেখিয়েছেন; জনগণের কঠোর সমালোচনার মুখে তাদের টনক নড়ে উঠেছে। কারণ তারা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন, জনগণের দাবি অনুসারে কাজ না করে গেলে পদবল, দলীয় বল বা সরকার এসবের কোনোটিই তাদের রক্ষা করবে না। কারণ যে পদ তাদের দেয়া হয়েছে তা ওই জনতার সেবার জন্য। যে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য তারা, সেই দলটি জন্মলগ্ন থেকেই জনমুখী এবং দলের সরকারও এই জনগণ ছাড়া কাউকেই তোয়াক্কা করে না। এমন প্রেক্ষাপটে নির্ভেজাল সত্যটা অন্তত জানা গেছে। তাই সকল পরিচয় একপাশে ঠেলে সকলেই এখন একাট্টা হয়েছে দেশের এই চলমান সংকট নিরসনে। যেখানে জনগণ ও সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সারাদেশের মানুষের দাবি, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ। তবে বিশেষ পক্ষের দাবি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে আন্দোলন নাকি বেগবান হবে, এখনই যদি মুক্তি দেয়া না হয় আর তার যদি কিছু হয় সে দায়বদ্ধতা সরকারকে নিতে হবে! আশ্চর্য! যাদের দাবির সঙ্গে চলমান পরিস্থিতিতে জনগণের দাবি সঙ্গে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা নাকি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন!

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ পরিস্থিতির মাঝেও একটি বিশেষ পক্ষ আজগুবি এক দাবি নিয়ে মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সারাদেশের মানুষের দাবি, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ। তবে বিশেষ পক্ষের দাবি, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে আন্দোলন নাকি বেগবান হবে, এখনই যদি মুক্তি দেয়া না হয় আর তার যদি কিছু হয় সে দায়বদ্ধতা সরকারকে নিতে হবে! আশ্চর্য! যাদের দাবির সঙ্গে চলমান পরিস্থিতিতে জনগণের দাবি সঙ্গে ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা নাকি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন! এ সময় তারা যদি সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রমের আলোচনা বা সমালোচনা করতেন অথবা নিজেরা কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতেন কিংবা জনগণের কিছু হলে আন্দোলন জোরদার করা হবে বলে হুমকি দিতেন; তাতেও হয়তো মনকে প্রবোধ দিতে পারত এ দেশের মানুষ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের এই দাবি জনগণের কোন স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তা বোঝা দুষ্কর। তবে সংকটের দাবানলে যে সাময়িক অস্থিরতার আগুন জ্বলছে দেশে, তাতে খানিক ঘি ঢালার প্রচেষ্টা যে এক পক্ষ করছে তা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে।

সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে, কেন এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সঙ্গে চলমান সংকট নিরসনে না নেমে তারা এই অবান্তর দাবি নিয়ে হৈ চৈ শুরু করেছেন? ইদানীং সরকার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত নানা প্রেক্ষাপটে ন্যূনতম ত্রুটি চোখে পড়লেই জনগণ বেশ সরব হয়ে সমালোচনা করছে। তারা হয়তো ভেবেছেন এর কারণ সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা ও বিরক্তি। না, এটা তাদের একেবারেই ভুল ধারণা। আসল বিষয়টি হচ্ছে, জনগণের এ সৃজনশীল সমালোচনা বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের কর্মকাণ্ডের এই ইতিবাচক বিরোধিতা করার এ বিষয়টিই হলো গণতন্ত্র। অর্থাৎ সরকারের কাজের প্রেক্ষিতে কোনো কিছু সাধারণ মানুষ তাদের বিবেচনায় অসমর্থনযোগ্য মনে করলে তার সমালোচনা বা বিরোধিতা করছে। আর সরকার হয় সেটা সম্পূর্ণ করে সঠিক বিষয়টি সামনে তুলে আনছে নয়তো বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে। 

সরকারের কাজের ব্যাপারে জনগণের এ প্রত্যক্ষ জবাবদিহিতার ক্ষেত্রটি একমাত্র সেই রাষ্ট্রেই চর্চিত হয়, যেখানে গণতন্ত্রের চর্চা বহাল রয়েছে। আর এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এখন একটি সচেতন জনগোষ্ঠীর দেশে পরিণত হয়েছে। আরেক দিক থেকে বলা চলে, যার প্রতি প্রত্যাশার মাত্রা বেড়ে যায় সে কম করলে রাগে গা জ্বলে। এক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় দেখা যাচ্ছে। সেরাদের কাছ থেকে সেরাটাই প্রত্যাশা করা হয়, সেটা না হলে সমালোচনা হবেই। ঠিক যেমনটা এ সরকার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে হচ্ছে। 

সমালোচনার মানে সরকার বিরোধিতা নয়, এটা জনগণের মত প্রকাশের, বিতর্কের এবং নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের স্বাধীনতা। যদি এক্ষেত্রে সরকার বলপ্রয়োগ করতো তবে নিশ্চয় সেটা রুদ্ধ হতো, যাকে বলা যেতো স্বৈরাচারিতা। কিন্তু জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকার তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট যখন, তখন আর সে বদনামের অবকাশ নেই। কারণ তার নামই গণতন্ত্র আর সেই সরকারই হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার, যেমনটা বাংলাদেশে রয়েছে। যদি তার প্রমাণ দেখতে চান তো একবার লক্ষ্য করে দেখুন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে সৃষ্ট জনগণের ক্ষোভ আর মনঃক্ষুণ্ণের জেরেই কিন্তু আমাদের মাননীয় মেয়র মহোদয়গণ পথে পথে ছুটে বেড়াচ্ছেন, যাচ্ছেন মানুষের বাড়ি বাড়ি। হাসপাতালে গিয়ে নিরন্তন খোঁজ নিচ্ছেন রোগীদের চিকিৎসার। আর নিজেরাই এখন জলে ও স্থলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এডিসের লার্ভা নিধনে। একেই বলে জনগণ, গণতন্ত্র আর জনতার সঙ্গে সরকার ব্যবস্থার সমন্বয়।

সরকার কাজ করবে, জনগণ সমালোচনা করবে এবং ভুল ধরিয়ে দেবে, সরকার শুধরে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করবে। আবার জনগণের অসচেতনতার প্রেক্ষিতে সরকার শক্ত হবে, আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবে আর জনগণ সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুধরে নেবে নিজেদের। এ সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা উন্নয়নের পথে তীব্র বেগে ধাবিত হয়। আকাশ ফুঁড়ে আসে না উন্নয়ন। সেজন্য চাই দৃঢ় রাষ্ট্রকাঠামো, সবল সরকার ব্যবস্থা এবং সচেতন জনগোষ্ঠী।

সরকার কাজ করবে, জনগণ সমালোচনা করবে এবং ভুল ধরিয়ে দেবে, সরকার শুধরে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করবে। আবার জনগণের অসচেতনতার প্রেক্ষিতে সরকার শক্ত হবে, আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করবে আর জনগণ সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুধরে নেবে নিজেদের। এ সমন্বিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই প্রগতিশীল রাষ্ট্রব্যবস্থা উন্নয়নের পথে তীব্র বেগে ধাবিত হয়। আকাশ ফুঁড়ে আসে না উন্নয়ন। সেজন্য চাই দৃঢ় রাষ্ট্রকাঠামো, সবল সরকার ব্যবস্থা এবং সচেতন জনগোষ্ঠী।

তবে এখানেই শেষ নয়। এই বিশেষ পক্ষের মত, তাদের কুমন্ত্রণায় বুদ্ধিহীন হয়ে পড়ে কতিপয় মানুষও এ সমাজে আছেন যারা এ বিস্তর বিবৃতিকে এক ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেবেন সরকারের দালালি, তোষণ বা তেলবাজি বলে। এক্ষেত্রে ফুঁ দেয়ার আগে একটা ছোট্ট বিষয় ভেবে নেয়া বোধ করি খুব দরকার। সেটা হলো, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তর্জন-গর্জন তো চলছেই। তাতে সাড়া দিয়ে সেই মুক্তির মোর্চায় কয়জন মানুষ গিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন? কেউ না। কারণ এ দেশের মানুষও তাদের সরকার এখন ব্যস্ত। তারা রাষ্ট্রের উন্নয়নের কাজে ব্যস্ত। কখনো বা এমন সাময়িক সংকটের মুখে একতাবদ্ধভাবে তা প্রতিরোধে ব্যস্ত, যেন তাদের কষ্টের অর্জন বিলীন না হয়। সচেতন জনগণ সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ে চলেছে বহু কষ্টে। আর তাতে ডেঙ্গু আসুক বা গুজবের প্রলয়, দেশবাসী রুখবেই।

আর একটি বিশেষ বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা প্রয়োজন, আইনি প্রক্রিয়ায় যখন একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হন তখন তিনি অপরাধী বা আসামি হিসেবে বিবেচ্য। বাংলাদেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থার প্রেক্ষিতে নির্ধারিত অপরাধের জন্য নির্দিষ্ট সাজার ব্যবস্থা রয়েছে। বেগম জিয়াও একজন অপরাধী হিসেবে কারাদণ্ডে দণ্ডিত। সরকার যদি তাদের কথায় বেগম জিয়াকে ছেড়েও দিতে চান, তাহলে জনগণ সরকারকে একরতি ছাড় দেবে না। কারণ অপরাধ যে করে আর সেই অপরাধীকে যে ছাড় দেয় উভয়ই সমান অপরাধী। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পেয়েছেন বলে, দেশের আইন ভেঙে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে মুক্ত করার অধিকার সরকারের নেই। জনগণ তা মেনে নেবে না। তবে বিষয়টি সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিবেচনা করা যেতো, যদি বেগম জিয়া ডেঙ্গুর প্রতিষেধক হতেন।

লেখক ● সহ-সম্পাদক, দৈনিক জাগরণ

জিএম/আরআইএস

আরও পড়ুন