• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২১, ০২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৩, ২০২১, ০৪:২০ পিএম

করোনায় ঈদ

ঘরে ফেরার টান

ঘরে ফেরার টান

১.

মহামারির এই ঘোর সময়েও দুই-দুইবার আমরা দেখা পেলাম ঘরে ফেরা জনস্রোতের; ২০২০ সালে ও ২০২১ সালে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় ঈদে বাড়ি ফেরা স্বাভাবিক সময়গুলোতেও ছিল একটা যুদ্ধবিশেষ, মহামারিকালে তা অমানবিক যাত্রায় পরিণত হয়েছে। ২০২০ সালেই আমরা দেখেছি এমন আলোকচিত্রের, প্রবল মহামারির বিপদ উপেক্ষা করে নর-নারী ট্রাকের ওপর বসানো মাছের ফাঁকা ড্রামের ভেতর বসে বাড়ি যাচ্ছেন। আর এই দফায় আরও বহু ধাপ অবনতি হয়ে এটি পরিণত হলো নারকীয় একটা যাত্রায়।

মানুষ ফেরিতে উঠেছেন জোয়ারের ঢলের মতো হুমড়ি খেয়ে, মানুষ ফেরিতে উঠেছেন রুদ্ধশ্বাস ছবির মতো দড়ি বেয়ে, মানুষ ফেরিতে উঠেছেন নদী সাঁতরে। মানুষ মরেছেন ফেরি থেকে উঠতে এবং নামতে গিয়ে, মরেছেন ফেরিতেও। কেন ঘরে ফেরার এই তাড়া মানুষের?

স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রামে ফেরা এই মানুষদের প্রতি অভিমান প্রকাশ করেছেন। ‘মর্মাহত’ হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘চলে গেল যে যেমনে পারে।’ ‘একটা ঈদ বাড়িতে না করলে কী হয়?' এই প্রশ্ন জাতির কাছে রেখেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

কী হয়, কেন তাদের বাড়ি যেতেই হবে, এই প্রশ্নটার নানা রকম উত্তর গণমাধ্যমে দেখলাম।

অন্তত দুটো অসাধারণ লেখায় এই মানুষগুলোর কথা অনেকখানিক পেলাম। একটা ফারুক ওয়াসিফ করেছেন, অন্যটা গোলাম রব্বানী। কাকতালীয় যে, দুটোর চুম্বক অংশেই ‘মা’ আছেন:

“লকডাউন দিছে, খাবার কি দিছে? খাই না-খাই, নিজের বিপদ নিজেই সামলাইছি। এহন কিছু হইলেও ওই বিপদ আমাগোরোই সামলাইতে হইব। বাপ-মা ছাড়া ঈদ করমু না।”

“‘মা, আমি ফেরি পাইছি, আইতাছি। তুমি চিন্তা কইরো না, সেহ্‌রির আগেই আইয়া পড়মু অনে’…নদীর বাতাস তার বাকি কথা উড়িয়ে নিয়ে গেল।”

প্রথম উদ্ধৃতিটিতে যেন এই ঘরে ফেরা জনগোষ্ঠীর সম্পূর্ণ জবাবটিই দেওয়া হয়ে গেছে। তার কথার প্রতিটা বিরামচিহ্নের আগে দেখবেন একটা করে উত্তর আছে, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ বিষয়ে সুষ্পষ্ট পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত আছে। খাদ্যের সংকট নিয়ে তিনি বলেছেন, মহামারিকালের বহুবিধ বিপদ সামলানোর কথা বলেছেন, ভবিষ্যতে তার দায় যে অন্য কেউ নেবে না, সেই উপলব্ধির কথাও তিনি বলেছেন। কেউ যার দায় নেবে না, তাকে তার নিজের বুঝেই চলতে হবে, সেইটাই তিনি করছেন। দ্বিতীয় উদ্ধৃতিটিতে দুস্তর বাধা হয়ে দাঁড়ানো বিপুল নদীটি পাড়ি দেওয়ার বন্দোবস্ত হওয়ার আনন্দ সংবাদ দেওয়া হয়েছে, কেননা বাকি রাস্তাটা হেঁটে যাওয়ারও দুঃসাহস ওই মানুষগুলো রাখেন, তবু মানবিক সীমাবদ্ধতায় অত বড় নদীটা তো আর সাঁতরে যাওয়া যায় না।

সরকার সব দেশে, সব কালেই নানা রকম ভুল করে। কিন্তু এত বড় তুঘলকি ভুল কখন হয়? যখন জনগণের সঙ্গে সরকারের ন্যূনতম বন্ধন আর থাকে না, জনগণের নাড়ির কোনো স্পন্দন ক্ষমতাসীনরা আদৌ আর টের পান না। সরকারের সব বাধানিষেধ উড়িয়ে দিয়ে লাখো লাখো মানুষ যখন বাড়ি যাওয়ার জন্য পথে নেমেছিলোই, হ্যাঁ, ঈদই করতে, তখন একটা ন্যূনতম দায়িত্ব হয় তাদের জন্য যত দূর সম্ভব পরিবহনের বন্দোবস্ত করা। না হলে তো বিকল্প একটাই থাকে, এই বিপুল-বিরাট জনস্রোতকে লাঠি কিংবা গুলির মুখে ফেরত পাঠানো। পরিবহন বন্ধ রেখে এবং ফেরি আটকে দিয়ে সরকার খানিকটা সেই পথে হেঁটেওছিল। ভেঙে ভেঙে নানান উপায়ে ফেরিঘাটে পৌঁছে যাওয়া মানুষকে নদীতীরে থামাবার বাসনায় সীমান্তরক্ষীদের পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছিল, কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে নীরব দর্শক হয়েই থাকতে হয়েছে তাদের।

 

২.

দৈনিক পত্রিকায় সদ্য কিশোরোত্তীর্ণ বয়সে প্রথমবার শব্দবন্ধটা পড়ে চমকে উঠেছিলাম ‘গ্রামীণ অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন’। হ্যাঁ, ১৯৯৪ সালের দিকে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের একটা গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রিকশাচালকরা গ্রামীণ অর্থনীতিতে তখন সবচাইতে বড় রক্তসঞ্চালকের ভূমিকা পালন করছেন। সেইবার প্রথম এই বিষয়টা উপলব্ধি করেছিলাম, গ্রাম থেকে আসলে সকলে নিয়ে যায়, দেয় সামান্যই। তো গ্রামের মানুষগুলো বাঁচে কী নিয়ে? গোটা দেশের মানুষের খাবার যা কিছু, যা কিছু কাঁচামাল, তার প্রায় সবটাই স্বয়ং গ্রামীণ সমাজ উৎপাদন করার পরও কিন্তু তার নিজের চলবার অর্থের জোগানটা এই বিপুল গ্রামীণ শ্রম থেকে আসে না। গ্রামের মানুষকে তাই এই ভর্তুকিটা মেটাতে হতো শহরে বাড়তি কাজ করে, ওই গবেষণার সময়টাতে রিকশাই ছিল তেমন প্রধান শ্রমক্ষেত্র। কৃষিশ্রমের মন্দা সময়টুকুতে মৌসুমি রিকশা চালিয়ে নিজ পরিবারকে এই বাড়তি অর্থের জোগানটুকু তারা দিতেন। এখন, প্রায় তিরিশ বছর পরের বাস্তবতায় রিকশাকে হটিয়ে পোশাকশিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির প্রধান রক্তসঞ্চালকে পরিণত হয়েছে। কর্মক্ষেত্রের আরও বহু রকম বৈচিত্র্য তৈরি হয়েছে। তারপরও এই সত্যটা আজও সমান অটুট আছে, বাংলাদেশের বর্তমান ধরনের অর্থনীতির ব্যবস্থাপনায় গ্রাম দেয়, শহর নেয়। তাই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আজও টিকে আছেন নিজে কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যের শহর থেকে পাঠানো অর্থে। স্বাভাবিক সময়ে প্রায় প্রতিদিন একজন রিকশাচালক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা গ্রামে পাঠান, বিকাশের মাধ্যমে। পোশাকশ্রমিকরা মাস শেষে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের চলার খরচটা পাঠিয়ে দেন। এর বাইরেও আছেন পরিবহনসহ নানান খাতের শ্রমিকরা। গ্রামীণ অর্থনীতির রক্তসঞ্চালনের ব্যাকরণটা হুবহু একই আছে।

অর্থনীতির রক্তসঞ্চালন বলি, ধমনিতে প্রবহমান রক্তের বাঁধনের কথা বলি, এই রক্তের টানটাই কি মানুষকে আজও গ্রামে টেনে নিয়ে যায় না? আমাদের নগরগুলো আজও তো এই মানুষগুলোর বাড়ি হয়ে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি; তাদের কোনো আত্মীয়তার বন্ধন, রক্তের টান তো এই শহরের সঙ্গে নেই।

 

৩.

ঈদের পর করোনা কি বিপজ্জনক হয়ে দেখা দেবে? করোনার ভারতীয় প্রকরণ কত দূর ছড়িয়েছে? গ্রামমুখী এই মানুষগুলো কি মহামারির বাহক হয়ে ছুটছেন নিজ নিজ জনপদে?

সেই সম্ভাবনা আছে, কায়মনোবাক্যে কামনা করব তেমনটা ঘটবে না। করোনা ঈদের পর যদি আরও বেশি ছড়ায় এবং পরিবহন বন্ধ থাকে, তাহলে সেটা এ দফায় প্রধানত গ্রামেই ছড়ানোর কথা। সেই বিপর্যয়টা ঘটলে তা ভয়াবহ হবে, কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুযোগ-অভিমান দেখিয়ে আমাদের কি ভোলাতে পারবেন যে মফস্বল পর্যায়ে করোনা চিকিৎসার কোনো বন্দোবস্ত আদৌ করতে পারেননি। আইসিইউ তো দূরের কথা, অক্সিজেনই নেই বেশির ভাগ জায়গায়।

অধিকাংশ মানুষ গ্রামে চলে গেছেন, এমন পরিস্থিতিতেও মে মাস জুড়ে ‘কঠোর’ লকডাউনের পরও যদি করোনা শহরেও তীব্র হয়ে ছড়ায়? আমরা কি নিশ্চিত, যে কায়দায় অফিস-আদালত খোলা রেখে, কারখানা খোলা রেখে, আমরা যেভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি, তা করোনা ঠেকাতে যথেষ্ট? ভারতে আমরা দেখেছি আইপিএলে, তথাকথিত কঠোর জৈব নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে করোনার হানা, একাধিক খেলোয়াড় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন। আইপিএলের ফাঁকফোকর যা-ই থাকুক, তা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের বাস্তবতায় যে সামাজিক দূরত্ব আমাদের পক্ষে পালন করা সম্ভব হয়, তার চাইতে বেশি। সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন একসঙ্গে বিপুল মানুষকে হাসপাতালে পাঠিয়ে রাতারাতি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার হাত থেকে রক্ষা করে, করোনার বিস্তার কোনো দেশই ঠেকাতে পারেনি। আসল সুরক্ষা গণটিকাকরণ; আর অসুস্থ হলে যথাযথ চিকিৎসার বন্দোবস্ত। এই দুটির কোনোটিই শহর বা গ্রাম—উভয় অঞ্চলের ন্যূনতম মানুষের জন্য করতে সক্ষম হয়েছেন সরকার?

 

৪.

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তৌফিক জোয়ার্দারের একটা লেখায় পড়েছিলাম, পুরো দেশে একবারে একই রকম লকডাউন না দিয়ে যখন যেখানে প্রয়োজন লকডাউন দেওয়ার জন্য। তাতে অর্থনীতি সচল থাকত, মহামারির বিস্তারও রোধ করা যেত। এবং সম্ভবত সে ক্ষেত্রে লকডাউনের যে মূল কাজ,  সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা, সেটাও যথাসম্ভব কঠোরভাবে তদারকি করা সম্ভব। সর্বব্যাপী অযৌক্তিক একটা লকডাউন মানুষকে মানানো কঠিন। তাতে মানুষ যা করার তাই করেছে, আবার অর্থনীতি ও ব্যক্তিজীবনের যা সর্বনাশ হওয়ার কথা, তা-ও হচ্ছে।

যেমন ঢাকা ও বরিশাল শহরে যখন সংক্রমণ চূড়ায়, তখন সেখানে আপনি লকডাউন দেবেন। কিন্তু তখন বরগুনা বা পটুয়াখালী কেন একই রকম লকডাউনে থাকবে? এলাকাওয়ারী সামাজিক সংক্রমণের তীব্রতার বিপুল পার্থক্য থাকলে সে অনুযায়ী কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিথিল বা কঠোরও করা যায়। সেগুলোর জন্য আসলে দরকার পাড়াভিত্তিক বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার সুযোগ, প্রয়োজন পরীক্ষার খরচ কমানো। এমনকি আরও বেশি প্রয়োজন ছিল অ্যান্টিবডি পরীক্ষার সস্তা বন্দোবস্ত, যাতে এই হিসাবটা আরও সহজে করা যায়। প্রয়োজনে দেশব্যাপী লকডাউন, প্রয়োজনে স্থানওয়ারি কঠোর লকডাউন, এমন করাই বোধ হয় সমীচীন হতো। এবং অবশ্যই, গরিব মানুষের জন্য খাবার নিশ্চিত না করে কোনো লকডাউন কার্যকর করাটা অসম্ভব। এগুলো করা হলে আমরা হয়তো কোভিড মহামারিকে যথাসম্ভব কম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে পার করতে পারতাম।

যেমন, এই যে বিপুল ভিড় দেখছেন ফেরিঘাটে, এটা কি অনুমিত ছিল না? বরং জেলাওয়ারি হয়তো পালা করে মানুষের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা যেত। হয়তো শুধু রাতে ফেরি না চালিয়ে ফেরিগুলোকে আরও ঘনঘন ছাড়ার বন্দোবস্ত করলে মানুষ আরেকটু কম ঘেঁষাঘেঁষি করে যেতে পারত। কিংবা ঢাকা বা অন্য কোনো শহরে ঈদ করতে বাধ্য হওয়া মানুষগুলোর জন্য কোনো বিশেষ বন্দোবস্তের ঘোষণা দেওয়া যেত।

এই পরিকল্পনাগুলো জনস্বাস্থ্যবিদদের করার কথা। এই ছকচিত্র ও অন্যান্য সম্ভাব্য পরিসংখ্যানগত চিত্রগুলো তৈরি করার কথা পরিসংখ্যানবিদদের। যেকোনো সভ্য দেশে এভাবেই চলার কথা সবকিছু। কিন্তু এই দুর্ভাগা দেশটাকে যারা চালাচ্ছেন সেই ক্ষমতাসীন দলটি এবং যারা পরিকল্পনা করছেন, সেই আমলাতন্ত্র বলতে গেলে দেশবাসীকে একটা জুয়ার টেবিলে তুলে দিয়েছেন।

টিকাকরণ ইউরোপ-আমেরিকায় যে গতি পেয়েছে, তাতে কয়েক মাসের ভেতর হয়তো তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে, যদি না কোভিডের মৌলিক গঠনে খুব বড় রকমের বদল না আসে, যা এই টিকাকে অকেজো করে দেবে। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে পরিসংখ্যানের বিচারে ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ সব সংক্রমণের তুলনায় এখনো আমাদের দেশে প্রায় তেমন কিছুই ঘটেনি—যদিও আমাদের অনেকেরই প্রিয়জনেরা মৃত্যুবরণ করেছেন—কিন্তু যদি ওই দেশগুলোর মতো আমরা দিনে এক হাজার মৃত্যু দেখতাম, এক লাখ সংক্রমণ দেখতাম! আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কি তার ন্যূনতম চাপ নিতে সক্ষম?

অন্যদের দেখে শিক্ষা হোক, নিজেদের দেশে যা ঘটে গেছে, তার শিক্ষায় শেখা হোক, এই দেড় বছরে বহু কিছুই করার সুযোগ ছিল। যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র-ব্রাজিল হয়ে সর্বশেষ ভারত পর্যন্ত জনগণের জীবন নিয়ে এই জুয়া খেলা কোনো দেশই শেষ পর্যন্ত বিপর্যয়কে এড়াতে পারেনি। তার সিংহভাগ ফল তো জনগণকেই ভোগ করতে হয়েছে।

খাদ্য-চিকিৎসা-নিরাপত্তার কোনো আশ্বাসই যে জনগণ ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে পায়নি, নিজেদের দায় তাদের নিজেদেরই হাতে তুলে নিতে হয়েছে। তাদের বেপরোয়া গৃহযাত্রার নিন্দা আমাদের সাজে না। বড়জোর তাদের নিজস্ব রক্তমাখা টানগুলো বুঝবার চেষ্টা আমরা করতে পারি।

 

লেখক: রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন। সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।