• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০১৯, ০৮:২৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩, ২০১৯, ০৮:২৮ এএম

শিক্ষকের তালাবদ্ধ ঘরে শিক্ষার্থীর লাশ 

শিক্ষকের তালাবদ্ধ ঘরে শিক্ষার্থীর লাশ 

যশোরের শার্শা উপজেলার গোগাগাজী পাড়া থেকে হাফিজুর নামে এক এতিমখানার শিক্ষকের তালাবদ্ধ ঘর থেকে শাহপরান (১২) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২ জুন) বিকাল ৫টার দিকে শার্শা থানার পুলিশ শিক্ষক হাফিজুরের গ্রামের বাড়ির একটি রুদ্ধ ঘর থেকে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিক্ষার্থী বেনাপোল কাগজপুকুর খেদাপাড়া এতিমখানার ছাত্র এবং বেনাপোল উত্তর কাগজপুকুর গ্রামের সাহাজান আলীর ছেলে। এতিমখানাটি পরিচালনা করতেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী মিজানুর।

গোগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয়রা লাশের দুর্গন্ধা বুঝতে পেরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও কিছু না পেয়ে এতিমখানা শিক্ষক হাফিজুরের বন্ধ ঘরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে খাটের নিচে লাশ সাদৃশ্য একটি বস্তু। পরে বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। 

বাগআঁচড়া তদান্ত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুকদেব নাথ বলেন, দুই থেকে তিন দিন আগে থেকে ছেলেটির কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। ছেলেটির পরিবার ছেলেটির খোঁজ জানতে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজুরকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে তারা রোববার বিকালে শিক্ষক হাফিজুরের গ্রামের বাড়ি গোগার গাজি পাড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় শিক্ষক হাফিজুরের একটি তালা দেওয়া ঘরের খাটের নিচে ছেলেটির মৃত্যু দেহ পড়ে আছে। এসময়ে শার্শা থানায় ফোন করলে ওসি স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙ্গে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করি। তবে ধারণা করা হচ্ছে দু’থেকে তিন দিন আগে তাকে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। 

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এম মসিউর রহমান জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে মেরে নিজ ঘরে রেখে দেবে এটা চিন্তার বিষয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনাটি কি ঘটেছে।
    
কেএসটি