• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০১৯, ০৪:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৩, ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম

মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক

বরগুনায় মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে বাবার আত্মহত্যা

বরগুনায় মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে বাবার আত্মহত্যা
বাবার দেওয়া আগুনে পুড়ে মেয়ে সখিনার মর্মান্তিক মৃত্যু ছবি : জাগরণ

বরগুনার পাথরঘাটায় বাবার দেওয়া ঘরের আগুনে পুড়ে মেয়ের মৃত্যু ও তার মা দগ্ধ হয়েছেন। ঘটনার পরই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা বেলাল হোসেন। পাথরঘাটা থানার পুলিশ মেয়ে ও বাবার মরদেহ উদ্ধার করেছে।নিহতরা হলো সখিনা বেগম (১০) ও তার সৎবাবা বেলাল হোসেন (৩৫)। মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সখিনার মা সাজেনুর বেগমকে (৩০) প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১২ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সাজেনুর বেগমের চাচাতো ভাই মো. ইব্রাহিম জানান, বেলাল হোসেনের বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলার ছকিনা গ্রামে। প্রায় দেড় বছর আগে সাজেনুরের সাথে বেলালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। আগেও সাজেনুর ও তার মেয়ে সখিনাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছিলেন বেলাল।

সাজেনুরের ফুফাতো বোন ফাতেমা বেগম জানিয়েছেন, সাজেনুর ও সখিনা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে ছিল। ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে সাজেনুর ঘর থেকে বের হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রামদা দিয়ে কোপানোর ভয় দেখিয়ে তাদেরকে ঘরের ভেতরে থাকতে বাধ্য করেন বেলাল। রাতেই ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে সখিনা বেগম মারা যায়। নিহত সখিনা বেগমের বাবার নাম হাসান। বেলাল হোসেন সাজেনুর বেগমের দ্বিতীয় স্বামী। মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই তিনি বেলালের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সাজেনুরের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. জিয়া উদ্দিন জানিয়েছেন, সাজেনুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮০ ভাগই পুড়ে গেছে।

ঘরে আগুন দেওয়ার পরে বেলাল হোসেন পাথরঘাটা সদর উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামে গিয়ে একটি আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ শিকদার জানিয়েছেন, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, সাজেনুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

এনআই