• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৯, ০৭:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৩, ২০১৯, ০৭:৫৭ পিএম

২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বোনের মৃত্যু

২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বোনের মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেল আপন দুই বোন। স্বামীর নির্যাতনে বড় বোনের এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ছোট বোন।

শনিবার (২২ জুন) দিনগত রাত ৫টার দিকে মারা যান অসুস্থ মেঘনা বেগম (২০)। যৌতুকের দাবিতে দফায় দফায় স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ মেঘনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীসহ চারজনের নামে শরণখোলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিকে বড় বোনের মৃত্যুর খবর শুনে রোববার সকাল ৭টার দিকে দেখতে আসা আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ফ্যান চালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তামান্না আক্তার (১২)। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামে। নিহত তামান্না উত্তর কদমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিহতরা ওই গ্রামের আলম খানের মেয়ে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৪ মাস আগে উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের রহমান তালুকদারের ছেলে মৎস্যজীবী সেলিম তালুকদারের সঙ্গে আলম খানের বড় মেয়ে মেঘনার বিয়ে হয়। ফিশিং ট্রলার নির্মাণ করবে বলে সেই থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে মেঘনাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে স্বামী। একপর্যায়ে তার দেবররাও তাকে নির্যাতন শুরু করে। এতে মেঘনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে গত শুক্রবার (২১ জুন) তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে তার বাবা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার পর শনিবার বাড়িতে আনার পর রাতে তার মৃত্যু হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক এসএম আবুল বাশার জানান, মেঘনার বাবা আলম খান বাদী হয়ে স্বামী সেলিম তালুকদার, তার তিন দেবর ডালিম তালুকদার, নূরু তালুকদার, লোকমান তালুকদারসহ চারজনের নামে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিপন নাথ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।

এনআই