• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৭:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৭:৪২ পিএম

হবিগঞ্জ পৌরসভার নতুন মেয়র মিজানুর রহমান মিজান

হবিগঞ্জ পৌরসভার নতুন মেয়র মিজানুর রহমান মিজান

হবিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ২০৮ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৭ ভোট।

কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সোমবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এ ভোটগ্রহণ।

ইভিএমে পৌরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করেন তাদের কাঙ্খিত নতুন মেয়র মিজানুর রহমানকে।

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আরো তিন প্রার্থী। তাদের দুজনই আওয়ামী লীগের। অন্যজন বিএনপি নেতা।

মেয়র পদে অন্যান্য প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা প্রার্থীরা হলেন- মো. মর্তুজ আলী চামচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৯০ ভোট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র (আ.লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী সৈয়দ কামরুল হাসান জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম. ইসলাম তরফদার তনু মোবাইল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭ ভোট।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে মিজানুর রহমান মিজান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে তৎকালীন মেয়র জিকে গউছের মত জনপ্রিয় প্রার্থীর সাথে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই করে চমক সৃষ্টি করেছিলেন মিজান।

তখন ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ে মাত্র ১৫শ ২৩টি ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন তিনি। মিজান এবার দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়ে তার সাথে ভোটের মাঠে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) হিসেবে লড়া নিজ দলের আরও ৩ প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি চমক সৃষ্টি করেন।

হবিগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৭ হাজার ৮২০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৮৩৮ ও নারী ভোটার ২৩ হাজার ৯৮২ জন। 

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গত ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জি কে গউছ। ফলে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, সিলেট ও রিটার্নিং অফিসার খোরশেদ আলম।

কেএসটি