• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০১৯, ১২:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০১৯, ০১:১৫ পিএম

নয়ন বন্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ : যা বললেন এসপি (ভিডিও)

নয়ন বন্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ : যা বললেন এসপি (ভিডিও)

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে কলেজছাত্র রিফাত হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা ও গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ নয়ন বন্ডকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ভোরে বরগুনা জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা এলাকায় চায়না কোম্পানির একটি প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় ঘটনাস্থলে আত্মগোপনে থাকা রিফাত হত্যা মামলার আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য গুলি ছুড়তে শুরু করে। তখন সরকারি অস্ত্র ও জানমাল রক্ষায় আসামিদের লক্ষ্য করে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায় আসামিরা পিঁছু হটে।

পুলিশ সুপার জানান, গোলাগুলি শেষে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নয়ন বন্ড এর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। পাশাপাশি মৃতদেহের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একটি পিস্তল, পিস্তলের এক রাউন্ড তাজা গুলি ও শর্টগানের দুই রাউন্ড গুলির খোসা এবং তিনটি বগি দা পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি দা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এসপি বলেন, গোলাগুলির সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান হোসেন, বরগুনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মনিরুজ্জামান ও কনস্টেবল মো. হাবিবুর রহমান আহত হয়েছে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের বরগুনা জেলা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, অস্ত্র উদ্ধার ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় আরো দু’টি মামলা হবে। দুটি মামলাতেই পুলিশ বাদি হবে। তাছাড়া রিফাতের হত্যাকারী বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি’র সামনে স্বামী রিফাত শরীফের ওপর বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজীসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়।

এসময় স্ত্রী মিন্নি’র শত বাধার পড়েও নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এর পর প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে দুপুর ১টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে একই দিন বিকাল সোয়া ৪টায় হাসপাতালের অপারেশন টেবিলে মৃত্যু হয় রিফাত শরীফের। তার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। তাছাড়া নিহতের বাবা নয়ন বন্ডসহ ১২ জনকে নামধারী আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুণ এখানে- 

কেএসটি