• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ১২:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ০৫:১৫ পিএম

রিফাত হত্যা 

অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজীসহ গ্রেপ্তার ১০

অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজীসহ গ্রেপ্তার ১০

দেশব্যাপী আলোচিত বরগুনায় স্ত্রী’র সামনে কলেজছাত্র রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নয়ন বন্ডের সন্ত্রাসী গ্রুপের সেকেন্ড-ইন কমান্ড রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বন্দুকযুদ্ধে নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মাথায় মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত রিফাত ফরাজী (২৩) বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের বাসিন্দা দুলাল ফরাজীর ছেলে এবং রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। ভিডিও ফুটেজ, পারিপার্শ্বিক সাক্ষি, পুলিশি তদন্তে সে ওই হত্যাকাণ্ডের একজন অন্যতম আসামি হিসেবে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এ নিয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের দায়েরকৃত মামলায় মোট ১০ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচজন এজাহারভুক্ত এবং বাকি পাঁচজন সন্দেহভাজন আসামি। এছাড়া মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামিকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়টি গোপন রেখেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনকালে জেলার এসপি মো. মারুফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ডিআইজি বলেন, ২ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে নির্মামভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই থেকে টানা ৭ দিনের অভিযানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১০ জন আসামি গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের প্রাক্কালে মঙ্গলবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী আসামিরা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে আসামি নয়ন বন্ড মারা যায়।

ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করে বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এ পর্যন্ত ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হলো- রিফাত হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী, ৪ নম্বর আসামি জয়চন্দ্র সরকার চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)।

এছাড়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মো. নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও রাফিউল ইসলাম রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিআইজি আরো বলেন, পুলিশ এখনো হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজীর ভাই রিশান ফরাজীসহ পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সকল ধরনের কৌশল অবলম্বন করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদী।


কেএসটি