গলাচিপায় ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক হাফিজিয়া মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার উত্তর চরবিশ্বাস হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মোহম্মদ ফরাজীকে আসামি করে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শনিবার (৬ জুলাই) গলাচিপা থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্র জানায়।

মামলার বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের উত্তর চরবিশ্বাস হাদিউল উম্মা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মোহম্মদ ফরাজী ঘটনার দিন (২৬ জুন ২০১৯) সকালে ফজরের নামাজের পর আরো সাতজন শিশুকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পড়াতে বসেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক মোহম্মদ ফরাজী শিশুটিকে কথা শোনার জন্য তার (শিক্ষকের) ঘরের সামনের রুমে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পর শিশুটি কান্নাকাটি করে দৌড়ে শ্রেণিকক্ষে এলে একই শ্রেণিকক্ষে থাকা শিশুটির বড় বোন জানতে চাইলে সে লজ্জায় কিছুই বলেনি। পরে ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে বাড়িতে গেলে মায়ের কাছে সব খুলে বলে। এরপর এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর শনিবার গলাচিপা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে শনিবার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাৎক্ষণিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক মোহাম্মদ ফরাজীর ছোট ভাই ইব্রাহিম ফরাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ইব্রাহিম ফরাজীও একই এলাকায় কেবল ছেলেদের নিয়ে অপর একটি আবাসিক মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এনআই