• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০১৯, ০৫:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১২, ২০১৯, ০৫:৩৭ পিএম

যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

গাইবান্ধায় ৬ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ

গাইবান্ধায় ৬ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ

গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় চলাচলকারী দূরপাল্লার বাস টানা ৬ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে গাইবান্ধার বাসযাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জানা যায়, পরিবহন শ্রমিক ও বহিরাগত পরিবহন মালিকদের দ্বন্দ্বের কারণে ৬ জুলাই থেকে টানা ৬ দিন যাবৎ গাইবান্ধা থেকে ঢাকার সাথে চলাচলকারী দূরপাল্লার চেয়ার কোচগুলো বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলহামরা, এসআর, শ্যামলী, হানিফ, অরিন, একতা পরিবহনের গাড়িগুলো।

মালিক ও শ্রমিক কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন না হওয়ায় কবে নাগাদ বাস চালু হবে তা অনিশ্চিত। ফলে ঢাকায় যাতায়াতকারী এ জেলার বাসযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, দূরপাল্লার চেয়ার কোচগুলোর কাছে জেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ার সময় নানা ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিদিন আগের ১৮০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ টাকা করে দেয়ার দাবি জানায় তারা। কিন্তু বাসমালিকরা তা দিতে রাজি নন।

এদিকে ঢাকাগামী বাসমালিকরা অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মালিক সমিতির নামে গাইবান্ধা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিটি চেয়ার কোচ থেকে ৩৬০ টাকা আদায় করার কথা ছিল, কিন্তু বাসচালকদের কাছ থেকে তারা ৪৪০ টাকা করে আদায় করছে। বাসমালিকরা অতিরিক্ত চাঁদা দিতে রাজি নন। এ কারণে জেলা থেকে ঢাকাগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন তারা।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা পর্যায়ের মালিকদের সাথে শ্রমিক সংগঠনের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে গত ৬ জুলাই থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মোটর মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সাথে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ফলে এক দিন পরই গাইবান্ধা থেকে ঢাকার চেয়ার কোচ চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে শ্রমিক সংগঠনের মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ, বর্ধিত চাঁদা প্রদান, সড়কে যানবাহনের নিরাপত্তা বিধানসহ অন্যান্য বিষয় নিস্পত্তি না হওয়ায় তারা গাইবান্ধায় টানা ৬ দিন যাবৎ চেয়ার কোচ চলাচল বন্ধ রেখেছে।

এদিকে গাইবান্ধার সর্বস্তরের বাসযাত্রীদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে গাইবান্ধা-ঢাকায় বন্ধ থাকা চেয়ার কোচগুলো অবিলম্বে চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন