• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবিতে ৪ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবিতে ৪ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু
 নৌকাডুবিতে নিহতদের স্বজনের আহাজারি  -  ছবি : জাগরণ

কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে নৌকাডুবির ঘটনায় ৪ শিশুসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের নতুন অনন্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরো ২ জন। নৌকাডুবিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

স্থানীয়রা জানায়, নতুন অনন্তপুর গ্রামের কয়েকজন নারী ১৪ থেকে ১৫ জন শিশুকে নিয়ে একটি ডিঙি নৌকায় করে বন্যার পানিতে ঘুরতে পার্শ্ববর্তী একটি বিলে যান। এ সময় অতিরিক্ত ভারের কারণে বিলের পানিতে নৌকাটি ডুবে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করে নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধার করতে যায়। এ সময় তারা শিশুসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ২ জনের মৃত্যু হয়। আর এক শিশুর মা নিহত রুনা বেগম (৩৫) তার শিশুসন্তানকে বাঁচাতে নিজে পানিতে ডুবে দুই হাতে সন্তানকে পানির ওপর ভাসিয়ে রাখেন। স্থানীয়রা তার শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও দীর্ঘক্ষণ পানিতে ডুবে থাকা মা রুনাকে বাঁচাতে পারেননি। নিহত অপর ৪ শিশু হলো অনন্তপুর গ্রামের ব্যাপারীপাড়ার আয়নাল হকের ছেলে হাসিবুল (৭), একই গ্রামের মহসিন আলীর মেয়ে রুপা মণি (৮), মনছুর আলীর ছেলে মোরসালিন সুমন (১০) এবং রাশেদের মেয়ে রুকু মণি (৭)।

অন্যদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে দুই যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকজনের লাশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাসহ স্থানীয় লোকজন পানির নিচে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

নিখোঁজ যুবকরা হলেন রৌমারী উপজেলার চাক্তাবাড়ী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৩) এবং নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের মাদাইখাল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ ন ম মুসার ছেলে আল মামুন (৪০)।

এছাড়া গত রোববার ও সোমবার দুই দিনে বন্যার পানিতে ডুবে চিলমারীতে ২ এবং উলিপুরে ১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামে এ পর্যন্ত ৭ শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বাড়ছে পানিবন্দি ও বন্যার পানিতে ডুবে নিহতের সংখ্যাও। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এনআই

আরও পড়ুন